নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় স্কুলছাত্র নাজমুল হোসেনকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুই কিশোরকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–২–এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি রেজাউল করিম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—খাদাইল গ্রামের মিশু মণ্ডল (২৫) ও পিংকি আক্তার (৩৪)। অপরদিকে, ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন পূর্ব খাদাইল গ্রামের হুজাইফা ও সাজু আহম্মেদ। অপরাধের সময় তাঁরা কিশোর থাকলেও বর্তমানে তাঁদের বয়স ১৮ বছরের বেশি। রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাঁদের নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর বিকেলে ছদ্মনামে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা পিংকি মোবাইল ফোনে ডেকে স্কুলছাত্র নাজমুল হোসেনকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার কেসের মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছালে মিশু, পিংকি, হুজাইফা ও সাজু মিলে নাজমুলকে একটি বাড়িতে আটকে রাখেন এবং তাঁর বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পাওয়ায় নাজমুলকে হত্যা করে মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার চার দিন পর ১০ নভেম্বর পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আল আমিন হোসেন বদলগাছী থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৮ জুন অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আদালতে অভিযুক্ত চারজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলায় মোট ২০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।