ইভান পাল
অন্তর মম বিকশিত করো
অন্তরতর হে।
নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,
সুন্দর কর হে।
বৈশাখের অগ্নিস্নানে যখন মানুষ অতিষ্ঠ তখন ই বৈশাখের একটি তারিখ আমাদের সাহিত্য আর সংস্কৃতি প্রেমি বাঙ্গালিদের মনে দাগ কাঁটে আর তা হল — ২৫শে বৈশাখ।।
কারণ, এই ২৫শে বৈশাখের এই দিনটিতে কলকাতার জোড়াঁসাকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়িতে জন্মেছিলেন বাংলা সাহিত্যে শ্রেষ্ট শিল্পী, কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক আমাদের প্রাণের মানুষ, প্রাণের ঠাকুর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।।
২৫শে বৈশাখকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে শ্রদ্ধার সাথে রবি ঠাকুর কে স্মরণ করা হয়।
চট্টগ্রামের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী আবৃত্তি সংগঠন “বোধন আবৃত্তি পরিষদ” আজ ১০ ই মে তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বোধন আবৃত্তি স্কুলে (অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন স্কুল) গান, আবৃত্তি ও কথামালায় অত্যন্ত সাড়ম্বরের সাথে কবিগুরুর জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করে।।
বাংলাদেশের বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী এবং বোধন আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি সোহেল আনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী মৃণ্ময় বিশ্বাস, পল্লব গুপ্ত, পলি ঘোষ, বিপ্লব কুমার শীল, শান্তনু মিত্র সহ বোধনের অন্যান্য আবৃত্তিশিল্পীবৃন্দ।।
আর অনুষ্ঠানে রবি ঠাকুরের গান পরিবেশ করেন— অজান্তা দাশ, রিতু সাহা, অনন্যা পাল, দীপিকা বিশ্বাস এবং সঞ্জয় পাল সহ আরো অনেকে।
এরপরে বোধন আবৃত্তি স্কুলের ক্ষুদে আবৃত্তিশিল্পীরা আবৃত্তিশিল্পী সঞ্জয় পালের নির্দেশনায় রবি ঠাকুরের “সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে” কবিতার বৃন্দ পরিবেশনায় অংশ নেন।।
উল্লেখ্য, বোধন বাংলাদেশের আবৃত্তি জগতের বহু প্রাচীন ১টি প্রতিষ্ঠান। যার পথচলা শুরু হয় স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু এবং নির্যাতন উপেক্ষা করে সেই আশির দশকে। এরপর থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এবং আবৃত্তি জগতে এই সংগঠনটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেই চলেছে।।