আল জুবাইয়ের আলিম
পড়ালেখার পাশাপাশি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রাজত্ব করা আর সেইসাথে চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে দেশের সেরা কলেজ গুলোর একটি আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার মধ্যে অবস্থিত সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম।
১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ কলেজটিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে এবং বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন বছরের এই অনুষ্ঠানমুখর দিনের নব্য সূচনা। শোভাযাত্রা থেকে ফেরার পর কলেজ প্রাঙ্গনের কদমতলায় বিশাল প্যান্ডেলের মধ্যে অবস্থান করে কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ।
কলেজ অধ্যক্ষ জনাব মোহাম্মদ আইয়ুব ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং তাঁর সূচনা বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা ঘটে।
এরপর একে একে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন— উপাধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক রুবাইয়াত ফাহিম, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সুসেন কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।
এরপর জাতীয় সঙ্গীতে জেলা পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন কমার্স কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি (সিসিডিএস) এর শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত দল জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং এর পরপরই কমার্স কলেজ – এর সকল সহশিক্ষা কার্যক্রম ইউনিটগুলোর সমন্বয়ে “এসো হে বৈশাখ” সমবেত সংগীত পরিবেশিত হয়।
মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে এক এক করে বাংলার ঐতিহ্য ও বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরে অংশগ্রহণ করা দলগুলো।
আবহমান বাংলার সংস্কৃতির সাথে মিশে যাওয়া কবিতা আবৃত্তি, একক গান, কোরাস, একক নৃত্য, দলীয় নৃত্য, লাঠি খেলা, পুতুল নাচ, পুঁথি পাঠ, পাহাড়ি নৃত্য, নৃত্য নাট্য, ছোটো গল্প অবলম্বনে নাটিকা “অরু”, র্যাম্প শো এর মাধ্যমে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যগুলোকে উঠিয়ে নিয়ে আসার মতো পালাক্রমে সেই অনুষ্ঠানগুলো সবার মন কেঁড়ে নেয়।
এছাড়াও ক্যাম্পাসের বৈশাখী অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণোচ্ছল করে তোলে “পিঠা উৎসব”। কলেজের সবগুলো ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন ইউনিট গুলো এই পিঠা উৎসবে স্টল বরাদ্ধকরনে অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি স্টলকে তারা এমন ভাবে সাজিয়েছে যেন সবার নজর কাড়ে।
আবার এই স্টলগুলোতে হরেকরকমের ঝাল-মিষ্টি পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শরবতসহ ছিলো বিভিন্ন রসালো মিস্টান্ন আইটেমের সমাহার।