মোঃ ফাহিম আহম্মেদ রিয়াদ – বগুড়া প্রতিনিধিঃ
কাহালুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগরনদী এখন বগুড়ার কাহালু ও দুপচাঁচিয়া এবং শিবগঞ্জের কতিপয় বালু ও ভূমি দুস্যদের দখলে। নাগরনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে স্ক্যপিশন মেশিন (মাটি খনন মেশিন) ও শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে নদীর পাড় কেটে মাটি ও বালু অবাধে উত্তোলন করা হচ্ছে। এখান থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু এবং নদীর পাড় খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। ফলে নদীর আশে পাশের গ্রামের বাড়ীঘর ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভ্যবনা রয়েছে।
নাগরনদী থেকে বালু উত্তোলন ও মাটি নিয়ে যাওয়া বন্ধের জন্য এলাকাবাসী ও উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে বার বার আলোচনা করা হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ নেওয়া হয়নি কোন জোড়ালো ভূমিকা। ফলে কাহালু ও দুপচাঁচিয়া এবং শিবগঞ্জের কতিপয় বালু ও ভূমি দুস্যরা নাগরনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বেপায়ারা ভাবে শত শত ট্রাক বালু এবং নদীর পাড় খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কাহালুর পাইকড় ইউনিয়নের ভুগোইল কালিতলা হিন্দু পাড়া নামক পয়েন্টে ভূগোইল গ্রামের ভূমি দস্যু আব্দুল জলিল, ইন্তেজার, বিপ্লব এবং শিবগঞ্জ উপজেলার ছাতুয়ার পাড়া গ্রামের রুবেল, রফিকুল ইসলাম ও হাবিবুর মাটি কাটার মেশিন দ্বারা বিরতিহীন অবৈধ্য ভাবে মাটি খনন ও বালু উত্তোলন করছে। কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের বকুলতলা, চকবন্যা, পাচঁতিতা ও কোলার পাঁথার সহ আরোও বেশ কয়েকটি পয়েন্টে মাটি কাটার যন্ত্র দ্বারা দিনে পর দিন দুপচাঁচিয়া উপজেলার আবু বক্কর, জিয়ারুল, সাগর, রতন, রুবেল, কাহালু উপজেলার বীরকেদার ফকির পাড়ার বায়জিদ, মোকাব্বর, হাসু, বীরকেদার মিয়াপাড়ার মিসবাহ, বীরকেদার আঠালিয়া গ্রামের সুইট, জানিক মাটি খনন ও বালু উত্তোলন করছে। এদের সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। উল্লেখিত পয়েন্টগুলো থেকে প্রতিদিন তারা শত শত ট্রাক মাটি ও বালু অবাধে বিভিন্ন ইট ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। নাগরনদীর আশে পাশের গ্রামগুলো দিনদিন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ আরাফাত রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, অনেক বার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছেন, কিন্তু তারা যেতে না যেতেই মেশিন সহ তারা আতœগোপন করে। গত কয়েক দিন পূর্বেই বগুড়ার নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উল্লেখিত ভূগোইল কালিতলা এলাকায় দুটি মেশিন জব্দ করে তা পুড়ে ফেলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পুনরায় তিনি বিকল্প পদ্ধতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ সকল ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।