Tuesday, May 13, 2025
26.1 C
Dhaka

শিশুদের দিয়ে ভীক্ষাবৃওি করাচ্ছেন তাদের পিতা-মাতারাই !

অনুসন্ধানীয় প্রতিবেদন:- আনিস মিয়া, ময়মনসিংহ।

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ,আর এই শিশদের হাতেই আগামীর পৃথিবী ।যাদের চিন্তা চেতনায় ,মেধায় গড়ে উঠবে আগামীর সমবৃদ্ধশালী সুন্দর ও সুস্থ্য পৃথিবী। যাদের নিপুণ হাতে গড়ে উঠবে আমাদের এ দেশ কিন্তু কিছু আসাধু-সাথ্যপর, লোভী মানুষের কারণে সেই আগামীর কর্ণধারদের চিন্তা-চেতনায় আর মননে দেওয়া হচ্ছে ভীক্ষাবৃওির মতো ধারনা ,যার বাস্তব চিএ পাওযা গেলো ময়মনসিংহ শহরের জয়নূল আবেদীন পার্কের আশ পাশে সহ আরো বেশ কিছু এলাকায় ।এই শিশুটির মতো আরো বেশ কিছু শিশুকে দেখা যায় এই পেশায় ।

শিশুটির বয়স আনুমানিক ৫ থেকে ৭ বছর হবে ।দেখা যায় শিশুটি এর কাছে থেকে ওর কাছে থেকে টাকা চাইছে কেউ দিচ্ছে, কেউ দিচ্ছে না,তবে যারা দিচ্ছে না তাদের কাচ্ছে একজন মহিলাকে ঘোরা-ফেরা করতে দেখা যায় ।আর দুর থেকে শিশুটি কে ইশারা করছে মহিলাটি,দুর থেকে বিষয়টি দেখছিলাম পরে বিষযটি আরো ভালো ভাবে জানতে এবং বুঝতে শিশুটিকে কাছে ডাকলাম এবং বিভিন্ন কথা জানতে চাইলাম ,জানতে চাইলাম তার পরিবার এর কথা তার কথা । প্রথম পযায়ে শিশুটি কিছু না বলেও একপযায়ে টাকা আর খাবারের আস্সাশ দিলে সবকছিু জানা যায । অন্যদিকে সেই মহিলার উপর এবং তার আচার আচরণের উপর লক্ষ রাখা হচ্ছিলো ।তবে একটি ব্যপার খোলাতে ছিলো ,শিশুটি প্রথম এসে বলেছিলো আমার বাবা –মা নেই ,বাব কোথায় যেন চলে গেছে আর মা নেই ।তবে শিশুটি এই বাক্যটি প্রথম থেকেই কেমন বোধ হচ্ছিলো আর ঘোলাটে লাগছিলো কিন্তু তা আর বেশি সময় ঘোলাটে থাকলো না ।শিশুটিকে অনেকক্ষন কথা বলার ছলে আটকে রাখায দূরে দাড়িয়ে থাকা সেই সন্দেহজনক মহিলাটি কাছে এসে শিশুটিকে টেনে নিয়ে যায় এবং আজে-বাজে কথা বলতে শুরু করে “ টাকা দিলে দিবেন না দিলে দিবেন না এতো কথা কে ” । তবে শিশুটির মুখে সবশেষ কথা শুনেই আরো আচয়্যে হতে হযেছে,শিশুটিকে যখন ছাড়া হচ্ছিলো না তথন শিশুটি এক পযায়ে বলছিলো ভাইজান আমার সময় কম আমি আপনাদের সাথে বেশি কথা বলতে পারবো না মা মারবে ।আমাকে ছেড়ে দিন তখনি ঘোলাতে রহস্যটি সামনে আসলো শিশুটি প্রথম এসে যা বলেছিলো তা মিথ্যা বলছিলো ।পরে শিশুটিকে নজরে রাখা হয সেই সাথে মহিলাটিকেও ,পরে তথ্য অনুসন্ধাণে জানা যায় মহিলাটি শিশুর জন্মদাএী মা ,আর শিশুটির পিতা সম্পকে কোন তথ্য পাওযা যাযনি ।এর পরে মাযের তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হয় সেখানে বেরিযে আসে আরো আরো কিছু রহস্য।

গোপন তথ্যে সংবাদ এ জানা যায় শিশুটির মা দেহব্যবসার সাথে জরীত ।তবে তার নিজের শিশু সন্তানকে দিয়ে কেন ভিক্ষাবৃওি করাছে ? কেন হাজারো মায়ের কপলে মা নামের মধুর ডাকে কালি বসাচ্ছে তার জন্যই স্ব-শরীরে তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা ,সত্যিই এই শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃওি করাচ্ছেন শিশুদের পিতা-মাতারাই ! তখন উঠে আসে আরো হাজারো প্রশ্ন তবে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তথ্য পরিসংখ্যানে যে কারণটি পাওয়া যায় তা হলো যদি ৩০ থেকে ৫০ এর মধ্যে বা ৫০এর উপরে কোন নারী,পুরুষ বা বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা ভিক্ষাবৃওির জন্য ৭ থেকে ৯ ঘন্টা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় তাহলে দিন শেষে ৩ শত থেকে ৪শত টাকার মতো আয় করতে পারেন । অন্যদিকে ৪থেকে ১০বছরের শিশুদের দিয়ে ৫ থেকে ৭ ঘন্টা ভিক্ষাবৃওি কারালে দিন শেষে ৪শত থেকে ৪শত ৫০ টাকার মতো আয় করতে পারে । কারন ছোট এই শিশুদের প্রতি সবার রয়েছে মমত্ববোধ,ভালোবাসা ছোট শিশুটি যদি এসে হাত পাতে বা এসে বলে আমি সারাদিন কিছু খাইনি কিছু টাকা দেবে তাহলে পকেটে থেকে ৫ টাকা হলেও দিতে চা্য় ,বিভিন্ন সময় দেখা যায় এই শিশুদের করুনামূলক বিভিন্ন উক্তি শিখিয়ে দেওয়াও হয় ।এবং ব্যাবহার করা হয় ভিক্ষাবৃওি সহ আরো বিভিন্ন বিপদজনক কাজে । তবে ঘৃনীত এই মা সুধু যে তার এক মেযেকেই দিযেই ভিক্ষাবৃওি করাছেন তাই নয় অনুসন্ধানে আরো পাওযা য়ায় মহিলার দুই মেয়ে।

অনুসন্ধানের প্রথম পযাযে যে শিশুটির সাথে দেখা হযেছিলো সে ছিলো ছোট মেয়ে আর দ্বিতীয় পযায়ে যে শিশুটির বিবরণ দেওযা হচ্ছে সে বড় মেয়ে বয়সও বেশি হবে না ছোট বোন তার থেকে ১ বছরের ছোট হবে ,বযস আনুমানিক ৬ থেকে ৭ বা ৮ বছর হবে ময়মনসিংহের সি.কে ঘোস রোড এসাকায় সকাল আনুমানিক ১০ :৩০ রাস্তার পাশে যাচ্ছিলাম হঠাৎ পেছন থেকে মেয়েটি এসে বলছে স্যার আমার মা নেই বাবাও নেই কয়টা টাকা দেবেন কিছু খাবো,তাকিযে দেখি শিশুটির মুখটা কেমন চেনা চেনা লাগছে তখন ক্যামেরা বের করে আমার অনুসন্ধানের মেয়েটি আর সেই মায়ের ছবিগুলো চেক করলাম এবং শিশুটির সাথে কথায় কথায় তার কোন বোন আছে কিনা জানতে চাইলাম এক পযায়ে শিশুটি তার এক ছোট বোন আছে বলে জানায় তখন সেই মেয়েটির ছবি ক্যামেরা থেকে দেখাই খুব আগ্রহ নিয়ে দেখে তার বোনের ছবি ।প্রথম কোন কথাই বলছিলো না ‍শিশুটি ,ছবিটি থেকে মনে হচ্ছিলো থমকে গিয়েছে ,মনে হচ্ছিলো ভয় পেয়েছে । পরে যখন মজার কিছু কথা বলতে শুরু করলাম তখন হয়তো আমাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো । পরে কথার চ্ছলে ওর মায়ের কথা্ জানতে চাইলাম তার আগে বাবার কথা ,কারণ অণুসন্ধাণে তাদের বাবার কোন সন্ধান পাইনি ।যাইহক শিশুরা কখনো মিথ্যা করা বলে না সেটা আমরা সবাই জানি যদি সেই শিশুকে মিথ্যে না শিখিয়ে দেওয়া হয । শিশুটির বাবার সম্পকে যতটুকু কথার চ্ছলে জানতে পারি ,শিশুদের বাবা কোন এক কারনে তাদের সেই দেহ ব্যাবসাযী,মাযের সাথে ঝগা করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের মায়ের মুখে তারা যতটুকু শুনেছে পিতার মাথায় সমস্যা ছিলো তাই কোথায় যেন চলে গেছে কেও জানে না ।

পরে যখন বুঝতে পারলাম শিশুটি সত্যিই আমকে বিশ্বাস করে ফেলেছে তখন তাদের মায়ের ছবিটি বের করে দেখালাম ,তখন শিশুটির মুখ থেকে সুধু একটা কথাই শুনতে পেরেছিলাম “এটা তো আমার মা আর ঐ মেয়েটা তো আমার ছোট বোন ” কেন জানি আবার সব থমকে গেলো হঠাৎ আবার নিশ্বচুপ ,মনে হচ্ছিলো শিশুটির চোখে ১০ মিনির আগে যেই অচেনা মানুষটিকে সে বিশ্বাস করেছিলো তা আর বিশ্বাসে থাকছে না ।তবে আমারো কেনো জানি মনে হচ্ছিলো শিশুটি হযতো আর আমাকে কিছু বলবে না আমার কাছ থেকে ছুটে পালাবে । এক সময় ভাবছিলাম এখন আর কথার ছলে নয় এখন কড়া করেই জানতে চাইরো মূল কারণ কি এই শিশুশ্রম এই ভিক্ষাবৃওির আসল রহস্য তবে শিশু মন তো তা আর হলো না । তবে দেখলাম যে না শিশুটিকে সুধু এই প্রশ্নটিই কবেছিলাম “যে তোমরা যে দুই বোন মিলে ভিক্ষা করো সেটা কেনো আর তোমাদের মা কোন কাজ না করে তোমাদের দিয়ে ভিক্ষা করান কেনো ” মাযের প্রতি সব রাগ আর ঘৃনা নিয়ে শিশুটি উওর দিলো “ মা আগে ভিক্ষা করতো কিন্তু বেশি টাকা পেতো না আমরাও মার সাথে ভিক্ষা করতাম মানুষ আমাদের বেশি টাকা দিতো মাকে কম দিতো এর জন্যই মা আমাদের দুই বোনকে দিয়ে সারাদিন ভিক্ষা করায় ” শিশুটি এই কথাগুলো শেষ না করতেই হঠাৎ চলে গেলো আমি কিছু টাকা রেখেছিলাম দেরো বলে কিন্তু আর দেওয়া হলো না আর কেনা জানি মনে হলো আমার সব ঘোলাটে প্রশ্নের উওরগুলো আমি পেয়ে গেছি ,আমার অনুসন্ধান হয়তো আজকেই শেষ হয়ে যাবে ,এই শিশু দুটিকে নিয়ে হয়তো আমার আর লেখা হবে না আর হয়তো এই শিশুদুটিকে নিয়ে আমার কী-বোড রাত জেগে টক-টক আওযাজ করবে না ,হয়তো আজকেই শেষ হবে আমার এই অনুসন্ধাণের দ্বিতীয় পব । হযতো এমন আরো কোন শিশুর সাথে এভাবে দেখা হবে ।

ময়মনসিংহের আনাচে-কানাচে প্রায় চোখে পড়ে ৪ থেকে ১০ বছরের শিশুদের যারা ময়মনসিংহ শহরেরে জয়নূল আবেদীন পার্ক,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয, এবং মযমনসিংহ রেল স্ট্রেশন এলাকার আশ পাশে এমনি করেই । সুধু এটা হয়তো ময়মনসিংহেরই চিএ নয় হয়তো বাংলাদেশের কোন পাকে বা কোনো জায়গায় দেখা য়ায় এমন শিশুদের চিএ আর জানা অজানা আরো কত রহস্য লুকায়িত থাকে । বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক জায়গায় আমাদের চোখে এমন হাজারো শিশু পড়ে যারা এমন শিশুশ্রম বা এই ভিক্ষাবৃওির সাথে জরিয়ে আছে ,কে জানে এই শিশুদের পথে নিয়ে আসছে তাদের পিতা মাতারাই !

 

Hot this week

নীল শাড়ি রূপা আর এক হিমালয়ের হিমু

সেদিন হিমালয় থেকে হিমু এসেছিল। মো. মোস্তফা মুশফিক তালুকদার। মাথার উপর...

সিজিপিএ বনাম অভিজ্ঞতা — মাহফুজা সুলতানা

বন্ধু, তোমার সিজিপিএ আমায় ধার দিও। বিনিময়ে,আমার থেকে অভিজ্ঞতা নিও।...

‘দেবী’কথনঃ একটু খোলামেলাই!

জুবায়ের ইবনে কামাল আপনি কি দেবী সিনেমা নিয়ে আমার মতই...

শরৎকাল: কাশের দেশে যখন প্রকৃতি হাসে !

ইভান পাল || আজ কবিগুরুর একটা গান ভীষণ মনে পড়ছে--- "আজি...

মাওঃ সাদ সাহেবের যত ভ্রান্ত উক্তি

বেশ কিছুদিন যাবৎ মাওঃ সাদ সাহেবকে কেন্দ্র করে তাবলীগ...

সিরাজদিখানে অপারেশন ডেভিল হান্টে আওয়ামীলীগ নেতা ফেরদৌস গ্রেফতার

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করে ফেরদৌস (৫৫)...

আইএসপিএবি ২০২৫ নির্বাচনে আমিনুল হাকিমের নেতৃত্বে ‘আইএসপি ইউনাইটেড’ প্যানেল

আসন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ২০২৫–২০২৭...

বাংলাদেশ থেকে ১.৫ মিলিয়ন টন আম নিতে আগ্রহী চীন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কেন্দুয়া ঘাসুড়া এলাকার একটি রপ্তানিযোগ্য আমবাগান...

‘স্টারলিংক‘-এর লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের এনজিএসও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘স্টারলিংক‘-এর লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান...

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরপিএল: সম্ভাবনা ও গুরুত্ব

আরপিএল বর্তমান বিশ্বে দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের জন্য প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি...

কালীগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে অভিভাবক সমাবেশ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘নরুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে’ শিক্ষার মানোন্নয়নের...

দৈনিক যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান

দৈনিক যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন বর্ষিয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান।...
spot_img

Related Articles

Popular Categories

spot_imgspot_img