মহিউদ্দীন আহমেদ অমি, বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল নগরীর বেলতলা খেয়াঘাটে নির্মান সামগ্রী বালু ব্যবসাক ঘিরে চলছে পুকুর চুরী। ক্রেতা পক্ষকে চোখে ধুলা দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাতারাতি লাখপতি বনে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললে ও সমাধানের সম্ভাবনা ক্ষিন্ন। এ ব্যাপারে নগরীর বেলতলা খেয়াঘাট গড়ে ওঠা একাধীক বালুর খোলায় খোজ নিয় গোপন সূত্রে জানা গেছে, এখানে ছোট বড় মিলিয়ে ১৫ টির মতো বালুর খলা রয়েছে নির্মান সামগ্রী টোক বালু,ভিট বালু,সিলেট চান বালু ফারা বা ফুট হিসাব বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তার মধ্যে টো বালু প্রতি ফারা ৪০-৪৫ টাকা, ভিটা বা প্রতি ফারা ১৫ টাকা এবং সিলেটচান বা প্রতি ফারা ৯২ টাকা দরে প্রতি ট্রাক ৫৫০ টাকায় পৌছে দেয়া সহ বিক্রি হচ্ছে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী এই বালুর ট্রাক কিংবা ঠেলা গাড়ীতে ভোক্তার কাছ পৌছানো হয়। একটি ৫ টনি ট্রাকে প্রায় ষাট ফারা বালু ধরে। ক্রেতার কাছ থেকে ষাট ফারা বালুর দামই রাখা হয় সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী ট্রাক দিনে চলাচল না করায় রাতের বেলা ক্রেতার কাছে বালু পৌছে দেয়া হয়। ফল সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরা ট্রাকে ষাট ফারার জায়গায় ক্রেতাকে সর্বোচ্চ ৫০ ফারা বালু দিয়ে থাকে। অথার্ৎ প্রত্যক ট্রাকে দশ ফারা বালু ক্রেতাকে কম দেয় হয়। দশ ফারা টোক বালুর বাজার দর ৪০ টাকা। আর সিলেটচান দশ ফারা বালু বাজার দর ৯২০ টাকা প্রায় ক্রেতার পকেট থেকে কেটে নেয়া হয়।
একই পদ্ধতিতে এক ঠেলাগাড়ীতে ১০ ফারা বালু ধরে। দশ ফারা সমান পচিশ ফুট ক্রেতার কাছ থেকে ১০ ফারার দামই রাখা হয়। কিন্তু এখানেও রয়েছে শুভয়ংকরের ফাকি । দশ ফারার স্থানে ক্রেতাক দেয়া হয় ৭ কিংবা ৮ ফারা বালু । যা কিন ক্রেতার পক্ষে নিক্তি দিয়ে পরিমাপ কর সম্ভব নয়। এখানে প্রতি ঠেলাগাড়ীতে ফারার দাম ৪৫ টাকা ক্রেতা কে ঠকান হয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে বেলতলা ইট,বালু,সিমেন্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ মাসুদ হাওলাদার চ্যানেল আগামীকে জানান, এক ট্রাক বালু ৩ শত টাকা। অর্থাৎ প্রতি ফারা ৬৩ টাকা সিলেটচান বালু ৪৮০০ শত টাকা ট্রাক অর্থাৎ প্রতি ফারা ৮০ টাকা দরে বিক্র হচ্ছে। বালু ব্যবসায় পুকুর চুরী হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারা বেশ কম দেয় তা আমি জানিনা। তবে আমরা ব্যবসা করিনা।