আনিস মিয়া, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মসিজদের মক্তবে আট বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণ আভিযো উঠেছে মসজিদের ইমাম এর বিরুদে, এ ঘটনবায় মক্তবের শিক্ষক, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য মাতব্বরসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী কাছ থেকে জানা যায় দ্বিতীয় শ্রেণি পড়–য়া শিশুটি স্থানীয় মক্তবে পড়তে যায়। এ সময় বৃষ্টি থাকায় মক্তব শিক্ষক এবং মৌওয়াকুড়া মসজিদের ইমাম আজিজুল হক ছুটি ঘোষণা করে শিশুটিকে মক্তব ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তার মুখ চেপে ধরে কাউকে এ কথা বলতে নিষেধ করে তাকে ছেড়ে দেয়।
পরে বিষয়টি অভিভাবকসহ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও কন্যা শিশুর অভিভাবক অভিযুক্ত ইমাম আজিজুল হককে মক্তবে অবরুদ্ধ করেন। দুই দিন পর পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত আজিজুলকে তার নিজ বাড়ি চারআলী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ভুক্তভোগী শিশুটির মা রহিমা খাতুন বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শালিসে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী দেওয়ান, ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া, ইউপি সদস্য আজাহার আলী, গ্রাম্য মাতব্বর ফুল মামুদ ও ইসমাইলকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে তাদেরও গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং ওই রাতেই শেরপুর সদর থানা হেফাজতে পাঠানো হয়। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আরেক ইউপি সদস্য সুরুজ আলী পলাতক রয়েছে। এ সম্পর্কে নালিতাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত সাত জনের মধ্যে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করতে শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।