সম্প্রতি বের হতে চলেছে তরুন লেখক তকিব তৌফিকের প্রথম বই ‘এপিলেপটিক হায়দার’। আর সেটি নিয়েই চ্যানেল আগামীতে লিখেছন তিনি।
প্রসঙ্গ কথা: এপিলেপটিক হায়দার
আমি কেবল হায়দারকে উপস্থাপন করিনি! আমি চেয়েছি একজন হায়দারের মত হাজারো হায়দারের কিছু গল্প উপস্থাপন করতে। যাদের জীবন জড়িয়ে আছে সামাজিক স্টিগমার সাথে।সামাজিক স্টিগমা তাদের জীবনকে সাধারণ হতে কতটা আলাদা রাখে তা উপস্থাপন করেছি। আমাদের শিক্ষিত সমাজের অশিক্ষিত ভাবনা হায়দারের মত অনেকেই আলাদা করে রাখে পরিবার থেকে, আলাদা করে রাখে স্বজনদের কাছ থেকে।
এছাড়াও উপস্থাপন করেছি হায়দারে বিশ্বাসের বিপক্ষে দু:স্বপ্নের কথা। স্বচ্ছ আয়নার মত বিশ্বাসের ফলে তার পরিনতি দু:স্বপ্নে পূর্বাভাস হিসেবে দেখা দেয়ার কথা। সেই দু:স্বপ্নই তাকে তাড়া করে! সে ভাবে, খুব ভাবে! নিজের সুপ্ত বিশ্বাসের উপর তার খুব আস্থা আছে কিন্তু সে জানেনা তার বিশ্বাসটিকে কতটা জোর দিয়ে বিশ্বাস বলা যায়! আচমকা তার সুবুদ্ধির জোরে দু:স্বপ্নের ব্যাখ্যা খুঁজে পায়। তারপর খুঁজে পায় তার করণীয় বিধানগুলো।
শুধু ধর্মানুভূতি থাকলেই হয়না, ধর্মানূভুতি হতে সৃষ্ট বিশ্বাসকে বিধান অনুসারে বহি:প্রকাশই হল প্রকৃত ধর্মানুভূতি; প্রকৃত বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের বহি:প্রকাশই বিশ্বাসের ভিত্তি। আর সে ভিত্তির জোরে টিকে থাকে প্রকৃত বিশ্বাস। নিজেরা কেবল নিজের ভেতরের গচ্ছিত বিশ্বাস নিয়ে যত্রতত্র তর্কে জড়িয়ে পরি, কিন্তু সত্যিকারের অর্থে নিজের বিশ্বাসটুকুকে কতটা স্থাপন করতে পেরেছি! বিশ্বাসের বিধানে আমার প্রত্যহ অর্জন কি! এ নিয়ে আমরা ভাবিনা।
*বইতথ্য :
বইয়ের নাম: এপিলেপটিক হায়দার
প্রকাশক: সমতট
পরিবেশক: নালন্দা
প্রচ্ছদ: হিমে হক
টাইপোগ্রাফী: শফিক হীরা।