আমার ভাষায় যে এত মধূরতা
তা কি আমি অন্য ভাষায় পাই..!
আমার একুশ আমি সবার মাঝেই
দেখতে চাই।
কি যে শান্তি মা তোমার ভাষায় কথা বলে
তাই তো তরুন প্রাণ দিল তোমার ভাষার তরে,
করুন মিছিল বিক্ষোভ দলে দলে
বেরিয়েছিল সেদিন দামাল তমাল রাজপথে।
সালাম জব্বার রফিক শফিক বরকত
নাম না জানা আরো কত কে
শত্রুর কাছে করেনি মাথা নত
তবুও এনেছে সম্মান প্রাণের বিনিময়ে।
দিনের পর দিন সহ্য করেছে অত্যাচার বাঙ্গালী
ভাষা কবিতা সংস্কৃতি চেয়েছে কেরে নিতে ওই দূরসাহসী,
এ বাংলা তবু ভয় পায়নি মা, ছেড়ে দেয়নি হাল
শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ায় করে বাংলাকে করেছে ঢাল।
আজ একুশ দিচ্ছে যে মনে অতীতের স্মৃতি করিয়ে স্মরণে
বুলেটের আওয়াজ রক্তের গন্ধ যে আজো আমরা ভুলতে পারি নাই,
তবে কি সেই মানুষ গুলো আছে জীবিত!
যাদের দানে আজ বাংলা ভাষা হয়েছে অর্জিত।
নাকি হারিয়ে গেছে সব কথার বুলি,
বদলে গেছে মানুষ গুলি,
হারিয়ে ফেলেছে ঐতিহ্য, নাকি ভুলে গেছে সংস্কৃতি?
উত্তর নেই এর কোন, কারন শহীদ মিনার যে হয়ে গেছে পুরনো
আজ তারা শহীদদের নামে করছে বাংলা ভাষার বিকৃতি,
অনেকেই জানে না আজো একুশের বিস্তৃতি।
আমরা ভুলে যাই সেই চেনা মুখ
যাদের প্রাণের বিনিময়ে এসেছে একুশ,
বার বার ভুলে যাই তাদের রক্তে ভেজা আত্মদান,
“রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই” যাদের ছিল একমাত্র স্লোগান।
কেন যে চোখের কোণে ভাসে না শহীদের ছবি
কেন যে সারা বাংলায় নেই এদের পরিব্যাপ্তি,
যদি আবার আসে ফিরে সেই দূর্বীষহ একুশ
তাহলে কি অধিকার হাশিলে ঝাঁপিয়ে পরবে তরুণ?
ব্যাথীত এই হৃদয় হত যদি শহীদদের উদজাগড়ণ
তবেই না ফিরে পেতাম আমার ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ
আজ শুধু একটায় আশা একুশ স্মরণে
চল সবাই সম্মান দিই ভাষা শহীদের চরণে।
– যুবশ্রী ঘোষ