আগামীর আজকের এই দ্বিতীয় পর্বে আমাদের কাছে আবারো চট্টগ্রাম থেকে লেখা পাঠিয়েছেন যুবশ্রী ঘোষ।।
একেবারে ভিন্ন একটা প্রেক্ষাপট।। মা শব্দটি নিয়ে আমাদের সবার মধ্যেই পবিত্রতার জায়গাটা অনেক বেশি। আবার, স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটা মেয়েরই প্রবল আকুতি থাকে, ইচ্ছে থাকে মা হবার৷ কিন্ত, কখনো কখনো ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কোন একটি মেয়ের মা হওয়াটা হয়ে ওঠে না। তখন সেই মেয়েটি মায়ের আঁচলে আগলে নিতে চান এমন একটি শিশুকে যার জন্ম পরিচয় নিয়ে সন্দিহান তার পালিয়ে যাওয়া পিতা মাতা। সমাজের রীতি পাল্টে দিয়ে সেই মেয়েটি নামকরণ করবেন পরিচয় ক্ষুন্ন একটি শিশুর।
কবিতাঃ
মা হওয়ার আকুতি
আমি কখনও কখনও মা হওয়ার আকুতি জানাবো,
জানিনা কিভাবে তাহার মা হয়ে উঠবো,
তবু আমি মাতৃ আদরে তাহাকে আগলিয়ে রাখবো,
আমার কখনও কোন অনু কল্পনা থাকিবে না,
আমার কখনও কোন অনুশোচনা থাকিবে না,
শুধু একটুকু মা হওয়ার আকুতি জানাবো।
আমি সাদরে নিবো তাহাকে কোলে তুলিয়া,
একটু সন্তানের স্বাদ অনুভব করিবো বুকে জড়াইয়া,
থাকনা মাতৃত্বের স্বাদ অপূরণীয়, কখনও হবে না হয় পূরণ,
তাই বলে কি আর হবেনা আমার আত্মার সন্তান?
আমি তাহার কাছে কিছু চাইবো না, করবো একটু মা হওয়ার আকুতি,
চাইবো গলা জড়িয়ে মা ডাক শোনার অপরূপ তৃপ্তি।
লোকে আমায় বলবে বলুক বন্ধ্যা, তাতে কি কাঁদবো লোকের কথায়,
তুমি কি এনে দেবে একটি শিশু রাস্তার কাছে জন্ম দেওয়া সেই পালিয়ে যাওয়া পাপী মাতা পিতার?
আমি আগলে নিবো মায়ের আঁচলের বিছানায়,
দিবো তাকে তোমার আমার নামে সন্তানের পরিচয়,
দু’হাতে আদর দিবো, নাম দিবো তার অজয়,
বিশাল বড় নামকরণে পাল্টে দিবো এ সমাজের রীতি,
আমি কখনও কখনও জানাবো মা হওয়ার আকুতি।
ছবিঃ সংগৃহীত