আজও কেউ কথা রাখেনি,সুনীলের তেত্রিশ বছরপেরিয়ে গেছে সেই কবেই…তিনিও আজ উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়েঘুরে বেড়াচ্ছেন মহাকাশ…..শান্ত পৃথিবীতে অশান্ত কলরব,তবুও কেউ কথা রাখেনি।দুর্গাপুজোর উৎসবে-নাগরদোলায় চড়া সেই ছোট্ট ছেলেটিরওকিছু স্বপ্ন ছিল……..বাবার হাত ধরে বলেছিল সে,বড়ো হয়ে যাবে মহাশূন্য ভ্রমণে…এতো বছর পরে চারিদিকে প্রখর রোদ,খাঁ খাঁ করে পিতার বুক,কেউ কথা রাখেনি।চিলেকোঠায় পড়ে আছে কাঠের প্লেন,আকাশ জয়ের দৃঢ় কল্পনা,সদ্য জন্মানো ফুলের অকাল বিসর্জন,পিচ ঢালা রাস্তা, উত্তাপে চাপা পড়ে যায় আজন্ম স্বপ্ন।দিগন্তের রেখা ছুঁয়ে নেমে আসে রাত,হাসনাহেনা_বাতাবিলেবুর ঘ্রাণমিলেমিশে একাকার,সীমাহীন প্রকৃতির অদম্য মাদকতা….সেই যে তিন প্রহরের বিল,তার হদিস মেলে না কোথাওআজও রঙ- বেরঙের উৎসব হয় দিকে দিকে,তবু কেউ ফিরিয়ে দিতে পারে নাছোটবেলার রাস উৎসব।অথচ বুকে মাংসের গন্ধ নিয়েএখনও রয়ে গেছে বরুণা,কাল থেকে কালান্তরে,মিথ্যে আশ্বাসে বেঁচে থাকে অফুরন্ত বিশ্বাস।আজো তন্ন তন্ন করে খুঁজলেপাওয়া যাবে ১০৮টি নীলপদ্ম।পঁচিশ বছরের অপেক্ষাতেপেরিয়ে গেছে শত বসন্ত,আজও কেউ কথা রাখেনি,হয়তো কেউ কথা রাখবে না কখনো।। ‘”
শুভ্র অনিক
দ্বাদশ শ্রেণি