এতকিছু করে ফেললো কিছু একটা করে ফেলার জন্য! তবুও শান্তি নেই তরুণের মনে।
মোল্লার বেশ ছেড়ে আপডেট যুগের ফ্যাশন সচেতন হলো। দাড়ি কামিয়ে মেয়েদের মুখের মত ফ্রেশ করলো। মস্তিষ্কে ভাবভাষের জন্য ধরলো নিকোটিন। গাজার ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় দেখতে লাগলো দিবাস্বপ্ন।
কবিতার রসদের জন্য তার প্রয়োজন হয়ে পড়লো নারীসঙ্গ। উপন্যাসের প্লট খুঁজতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লো বেশ্যাপ্ললিতে।
নামাজ -রোজার কথা মনে হলে সেকেলে প্রথা বলে তাচ্ছিল্যর হাসি হাসলো। এসময়টা সাহিত্যচর্চা করলেও ঢের!
তরুণ ছেলের মনে এক পশলাও শান্তি নেই।তাকে কেউ চিনতে পারলো না!
কেউ না! না! বাবা-মাও তাকে বুঝলো না! তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কাউকে বোঝানো গেলো না!
আদর্শিক বিপ্লবের জন্য টগবগে এক তারুণ্যকে সবাই এড়িয়ে গেলো! মাড়িয়ে গেলো। তার কাজে বাধ সাধলো!
নাহ, এদের সাথে আর বাস সম্ভব না। এরা আমাকে শেষ করে দিবে। আমাকে আমার মত হতে দিবে না। আমার মত চলতে গেলে সমাজ থেকে বের করে দিবে।
অথচ সেটা হওয়ারই খুব দরকার।
সুবোধ ঘর ছাড়লো।
গুরুর ডেরায় ভীড়লো ছন্নছাড়া তরুণ।
গুরু কল্কিতে গাজা সাজাতে সাজাতে বললেন, আরে পাগলা!
বাংলা-হিন্দি ডিসকো গান শোন! মন ঠাণ্ডা হবে। বিপ্লবের জন্য ঘর ছাড়তে হয়।
তরুণ সুধায়,
আপন জনক-জননীর প্রাণের বাঁধন ছিঁড়ে ফেলে সমাজচ্যুত বিপ্লবীর
দল।
বলুন গুরু, সমাজের বাবা-মায়েরা জীবনে কী নিয়ে বেঁচে থাকবে?!
গুরুর লাল চোখ দপ করে জ্বলে উঠে আবার নিষ্প্রভ হয়ে যায়।
গুরুর ধার্মিক জনকের বুকভরা দীর্ঘশ্বাস।
লেখা-সালমান সা’দ