অতঃপর ভালবাসা
শারমিন তুসি
বসন্ত এনে দেবো ভরা শ্রাবণে,
দোর খোলা পূর্ণিমায়,
চোখ দু’টোকে ছুঁইয়ে দিয়ো কপালে,
আঙুলে আঙুল বেঁধো নেশাখোর পিশাচের মতো,
দুলে থমকে দিয়ো জ্বলন্ত ঠোঁটের ধূপকাঠি,
বাঁকানো পিঠের শিরায় আচঁল টেনে নিয়ো যেন-
ভোরের রোদ এসে টোকা না দেয়,
গাল ছোঁয়া আংটির দেয়ালের নখ ঘষা পিপাসারা বন্দি থাকুক;
আর জানালার পর্দা থাকুক মুক্ত।
অনাহারী লাল চোখের বিস্মিত স্ফুলিঙ্গ ঝরে যাক শীতল মেঝে,
পায়েলের ঝুমকো খুলুক পায়ের রাহাজানিতে,
আমাকে আমার মতো করেই বেঁধো পাজরের জেলখানায়,
আর স্বর্গ এসে ভর করুক কুঁড়েঘরের চালে,
আমরা নাইতে থাকবো চঞ্চল স্নিগ্ধ কাবেরীতে।