ইভান পাল
আজ ভীষণ ভাবে কিছু বিশেষ গান গাইতে ইচ্ছে করছে।।
এই যেমন —
“গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গামাটির পথ,
আমার মন ভুলায় রে”….
কিংবা —
“ আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায়,
লুকোচুরির খেলা রে ভাই।
লুকোচুরির খেলা”….
অথবা এরকম আরো হাজারো রকমের গান।তাও আবার সব রবীন্দ্রসংগীত।
কিন্তু আমার প্রিয় পাঠককের মনে এ নিয়ে স্বভাবত ই এক টি প্রশ্ন জাগতে পারে আর তা হচ্ছে– “আরে বাবা! গান গাইছেন তো ভালো কথা কিন্তু আজকেই সব রবীন্দ্রসংগীত ই কেনো?
কারণ একটি, বৈশাখের অগ্নিস্নানে যখন মানুষ অতিষ্ঠ তখন ই বৈশাখের একটি তারিখ আমাদের সাহিত্য আর সংস্কৃতি প্রেমি বাঙ্গালিদের মনে দাগ কাটে আর তা হল — ২৫শে বৈশাখ।।
বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ট শিল্পী, কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক এর আজ জন্ম দিন।
কার কথা বলছি, আমার পাঠকগণ নিশ্চয় ই এতক্ষণে আচঁ করতে পেরেছেন?
ঠিক তাই,আজ ২৫শে বৈশাখ আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জন্মদিন। যিনি আমাদের প্রাণের ঠাকুর “রবীন্দ্রনাথ”।
জন্মেছিলেন ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে।তারঁ পিতামহ ছিলেন ধনাঢ্য জমিদার প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতা সারদা দেবী। পনেরো ভাইবোনের মধ্যে তিনি হচ্ছেন চৌদ্দতম।
জোড়াসাকোঁর এই ঠাকুর পরিবার টি ছিলো পিরালী শ্রেণীর ব্রাম্মণ পরিবার। এর অর্থ হচ্ছে তারাঁ ব্রাম্মণ হবার পরেও পতিত হয়েছিলেন।আর সমাজের অন্যান্য ব্রাম্মণ রা তাদেরঁ নিচু চোখেই দেখতেন। আর পারাবস্থায় এই শ্রেণীর ব্রাম্মণ গোত্রের সাথে কোন প্রকার সামাজিক সম্পর্কে যেতেন না।
কিন্তু এক্ষত্রে অবশ্য ঠাকুর বাড়ির এই ব্রাম্মণ পরিবার টিকে ছিটে ফোটাও কষ্ট পেতে হয়নি। কিংবা হয়রানি হতে হয়নি। কারণ সে পরিবারটি ছিল একে বিত্তবান তারপরে আবার শিক্ষা দীক্ষা, সাহিত্য, শিল্পকলা, সংস্কৃতি, সংগীতের চর্চায় ছিলো শ্রেষ্ট একটি পীঠস্থান।অত্যন্ত মুক্ত মনা একটি পরিবার ছিলো এই জোড়াসাঁকোর ঠাকুরপরিবার।
আর তাই তো ঘটেছিলো বাংলা সংস্কৃতির সাথে পশ্চিমা সংস্কৃতি আর মোগলাই সংস্কৃতির মিশ্রণ।
এবার একটু তাদেরঁ ধর্ম চর্চা নিয়ে বলি। আমি তো আগেই বলেছি, পরিবার টি মুক্তমনা। বিভিন্ন সংস্কৃতির হাওয়া এসে লেগেছে জোড়াসাঁকোর এই ঠাকুর পরিবার টিতে।
হহুম, তাদেরঁ ধর্ম চর্চা। পাঠক মহলের মনে তো একটি ই কথা উকিঁ ঝুকিঁ দেয়।আর তা হচ্ছে– “ উনারা হিন্দু ছিলেন আরকি!”
ছিলেন তো মানুষ। মানুষের আবার জাত কি?
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর “ব্রাম্মধর্ম” গ্রহণ করে
তাই ই যেন বলে দিয়েছিলেন।
হ্যাঁ প্রিয় পাঠক, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর এর পরিবার টি ছিলো “ব্রাম্মধর্ম” এর অনুসারি।
যাক, এবার একটু ব্রাম্ম ধর্ম নিয়ে কথা বলি।
কি এই ব্রাম্মধর্ম?
ব্রাম্মধর্ম:
রাজা রাম মোহন রায় ১৮২৮সালে ব্রাম্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই ধর্মটির মূল কথা হচ্ছে, ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। তিনি নিরাকার, মানে তারঁ কোন আকার বা মূর্তি নেই।শুধু মাত্র নিরাকার পরম ব্রম্মের উপাসনা করাই এই ধর্মের মূল কর্তব্য। তৎকালীন সমমাজ ব্যবস্থায় যত রকম কুসংস্কার রয়েছে, তার বেশির ভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এই সমাজ ব্যবস্থার বিশাল এক পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল এই ব্রাম্মধর্ম।ব্রাম্মেরা প্রতিমা পূজা করেন না। আর প্রার্থনার সময়ে সকল ধর্মের ই ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে থাকেন। আর এর মাধ্যমেই কিন্তু ঠাকুর পরিবার তথা রবি ঠাকুর স্বয়ং এক বিশাল সম্বন্বয় বাদীতার মধ্যে বড় হয়েছেন যা বললার অপেক্ষা রাখে না।আমরা তারঁ সৃষ্টি গুলোতেই প্রমাণ পাই। তিনি যে, সব জাত পাত আর ধর্মের উর্ধে।
এবার আসি রবি ঠাকুর এর পড়াশোনার পাতাতে। পাঠক মহল তো ভাবছেন ই, তিনি খুব বড় পন্ডিত ছিলেন, প্রচুর পড়াশোনা ও করেছেন। কি তাই তো?
হ্যাঁ, তিনি পড়েছেন তো বটেই! না পড়লে এত বড় পন্ডিত হওয়া তো অসম্ভব।কিন্তু তা স্কুল, কিংবা কলেজে গিয়ে নয়। যা পড়া সব বাড়িতেই। ১৮৭৫ সালে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি তারঁ মাকে হারান। পিতা ছিলেন ভ্রমণ পিপাসু। তাই দেশভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে কাটাতেন। তাই এত বড় জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল পরিচারক, পরিচারিকাদের তত্ত্ববধানে।
রবি ঠাকুর এর হাতে খড়ি, জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতেই। তো তাকেঁ ঐসময়টাতে পড়াতেন মাধব পন্ডিত।একদিন ছোট্ট রবি ঠাকুর দেখলেন, বাড়ির বড় ছেলেরা সবাই স্কুলে যাচ্ছে।তো তিনি ও গো ধরলেন স্কুলে যাওয়ার জন্য। তাকেঁ পড়াতেন মাধব পন্ডিত। তো,মাধব পন্ডিত তো এক কথা শুনে রেগে টং। রেগে মেগে দিলেন খুব করে এক চড় বসিয়ে।আর বললেন, “খুব যে স্কুলে যাওয়ার শখ, পড়ে তো কাদবেঁ”।
এনিয়ে তিনি তারঁ ই কোন একটি লেখাতেই বলেছিলেন “এতবড় ভবিষ্যৎবাণী জীবনে আর কোনোদিনো কর্ণগোচর হয় নাই।”
যাক, সত্যি স্কুলে যাওয়ার আগে কেদেছিলেন— স্কুলে যাওয়ার জন্য আর স্কুলে যাওয়া আরম্ভ করলেন আর তখন কাদছেন— স্কুলে না যাওয়ার জন্য।। তবে তিনি আবার পড়া কে না ভয় পেতেন না।ভয় পেতেন, মাষ্টার মশাইকে। বই তো তিনি সেই ছোটবেলা থেকেই পড়তেন । আমি আবারো বলছি, তারঁ মতো সকল শাস্ত্রে পন্ডিত এই বাংলা সাহিত্য জগতে খুব কম লোক ই আছেন।
শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি , নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু না মন বসে নি মানে ই মন বসেনি।
বাড়ির বড়দের সব রকম চেষ্টাই বৃথা গেল। কোন ভাবেই ঠাকুরবাড়ির এই সদস্য টি স্কুল টপকাতে পারলেন নাহ। এ যেনো, বড্ড বাড়াবাড়ি।
স্থির করলেন,বিলাত যাবেন ব্যারিস্টারি পড়বেন।মেজভাই সত্যন্দ্রনাথ দত্তের সাথে পাড়ি দিলেন বিলতের পথে। বিলেতে তো গেলেন পড়াশোনাও শুরু হল, কিন্তু পড়াশোনায় তারঁ মন নাই। তারঁ মন আছে শুধু গান আর নাচ নিয়ে।দেড় টি বছর কাটিয়ে দিলেন বিলেতে,অথচ যে কারণে গেলেন তার কিচ্ছু হল না। পিতার নির্দেশে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করলেন। এযেন খোকা বাবুর প্রত্যাবর্তন।
রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকেই শিখে ছিলেন সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, জ্যোতির্বিজ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান আর ইতিহাস সম্পর্কে।
মাত্র আট বছর বয়সে কবি প্রতিভার প্রকাশ ঘটে। প্রথম রচনা ছিল কাব্য উপন্যাস “বনফুল”। আবার তারঁ প্রথম গদ্য গ্রন্থ “ইউরোপ প্রবাসীর পত্র”।যেটি আবার ১৮৮১সালে প্রকাশিত হয়েছিলো।
বয়স যখন মাত্র তেরো তখন ই অমৃতবাজার পত্রিকায় প্রথম স্বনামে কবিতা ছাপা হল, কবিতার নাম “হিন্দুমেলার উপহার”।
মাত্র ষোল বছর বয়সে লিখলেন “ভানুসিংহের পদাবলি”। এখানের ব্যবহৃত কবিতাগুলি রাধা – কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির অনুকরণে “ভানুসিংহ” ভণিতায় রচিত। আবার “ভানুসিংহ” কিন্তু তারঁ ই ছদ্মনাম।
লিখেছিলেন “ভিখারিণী” আর করুণা নামের দুটি ছোট গল্প ও। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে বাংলা ছোট গল্পের জনক বলা হয়। তারঁ হাত ধরেই কিন্তু সাহিত্য জগতে ছোট গল্পের আগমণ। ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “ভিখারিণী” গল্পটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প। আবার ১৮৭৮ সালেই প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ “কবিকাহিনী” । তারঁ সন্ধ্যাসংগীত কাব্যগ্রন্থটির বিখ্যাত কবিতা ছিলো ” নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ “। নির্ঝরের স্বপ্নভংগ” কাব্যটি ছিলো তারঁ তরুণ বয়সের এক অসাধারণ সৃষ্টি।
ভাই আর বৌদিকে দেখতে যান চন্দন নগরে। পাশে সুবিশাল গঙ্গা নদী।এখানের মনোরম পরিবেশে লেখেন তারঁ, প্রথম উপন্যাস বৌঠাকুরাণীর হাট। উপন্যাস টি ধারাবাহিক ভাবে তারঁ ই ভাই দ্বিজেন্দ্র নাথের সম্পাদিত পত্রিকা, ভারতী তে প্রকাশিত হয়।
১৮৮৩সালের ৯ই ডিসেম্বর মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মৃণালিনী দেবী ছিলেন ঠাকুরবাড়ির অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা। তবে বিয়ের আগে মৃণালিনী দেবীর নাম ছিলো ভবতারিণী। বিয়ের পরবর্তী জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী। রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনীর দাম্পত্য জীবনে সন্তান ছিলেন পাঁচ জন। মাধুরীলতা, রথীন্দ্রনাথ, রেণুকা, মীরা,আর সবশেষ শমীন্দ্রনাথ। এঁদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেণুকা ও শমীন্দ্রনাথ মারা যান।
জমিদারি দেখাশুনার কাজে এসেছিলেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের শিলাইদহ “মানসী আর সোনার তরী” কবিতা দুটি এখানেই সৃষ্টি।তবে ১৮৯০সালে মানসী কাব্যগ্রন্থের সৃষ্টি।
প্রভাতসংগীত , শৈশবসঙ্গীত, রবিচ্ছায়া , কড়ি ও কোমল ইত্যাদি তারঁ শ্রেষ্ঠ কিছু কাব্য সংকলন। আর গল্পগুচ্ছ, গল্প সপ্তক এ রয়েছে তারঁ রচিত শ্রেষ্ট গল্প সমূহ। যে গল্প গুলোর মাধ্যমে একেঁছিলেন সমাজের প্রায় সব স্তরের মানুষের জীবনের গল্প গুলোকে।পারতেন ও কিভাবে জানি,নিজের জায়গায় বসে অন্য আরেক জন মানুষের জীবনকে কল্পনা করে গল্পে রুপ দিতে।
১৯০১সালে চলে আসেন বোলপুর শান্তিনিকেতনে। এখানেই মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৮ সালে একটি আশ্রম ও ১৮৯১ সালে একটি ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।আর সেখানেই রবিন্দ্রনাথ চালু করলেন ” ব্রহ্মবিদ্যালয়” বা “ব্রহ্মচর্যাশ্র” নামে একটি স্কুল। যেই স্কুল টি হয়ত এখন নেই তবে ঠাকুর এর প্রতিষ্টিত এই স্থান টি এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ভারত সরকার এটিকে “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
এখানে আসার পর বছর ই কবির পত্নী বিয়োগ ঘটে। ১৯০২সালে মৃণালিনী দেবী মারা যান।
১৯১০সালে যখন ব্রিটিশ সরকার দেশ ভাগ করে তখন ই দেশ ভাগের দু:খে রচনা করেছিলেন,,
“ আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি,
চিরদিন তোমার আকাশ,
তোমার বাতাস আমার প্রাণে
বাজায় বাশি।”
যা আজ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃত।
গীতাঞ্জলী কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে পান নোবেল পুরষ্কার। ইংরেজ কবি ইয়েটস এই কাব্য গ্রন্থ টির ইংরেজি অনুবাদ করেন। এশিয়দের মধ্যে প্রথম বাঙ্গালি নোবেল বিজয়ী একমাত্র তিনি ই।।
১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে, “নাইটহুড” উপাধি দেয়। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক জালিয়ানা ওয়ালা বাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই নাইটহুড উপাধি প্রত্যাখ্যান করেন।
তারঁ শেষ জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু সৃষ্টি হচ্ছে — পুনশ্চ, শেষ সপ্তক, শ্যামলী ও পত্রপুট। এগুলো তিন্টিই গদ্যকবিতার সংকলন। এছাড়াও নৃত্যনাট্যর মধ্যে উল্লেখ্যোগ্য চিত্রাঙ্গদা, শ্যামা ও চণ্ডালিকা। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ তিনটি উপন্যাস দুই বোন, মালঞ্চ, চার অধ্যায়, জীবনের এই শেষ সময়ে এসে সৃষ্টি করেছিলেন।
যুক্তছিলেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ আর হিতবাদী পত্রিকার সঙ্গে।
আর ঠাকুর বাড়ি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা তো ভারতী। এছাড়াও আরো তিন টে পত্রিকা এসময় ঠাকুবাড়ি থেকে প্রকাশিত হয়। যেগুলো হচ্ছে– সাধনা, বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী।
যাক,আমি হয়তো বলে শেষ করতে পারবো নাহ তারঁ সৃষ্টি সম্ভার গুলো নিয়ে। কারণ তারঁ সৃষ্টি অসংখ্য, অসংখ্য। তারপরো তারঁ কিছু শ্রেষ্ট রচনার কথা পাঠকের কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
তারঁ এই বিপুল সৃষ্টি সম্ভারে রয়েছে, প্রায় আড়াই হাজারের মতো গান, ১১৯টি ছোট গল্প
,কবিতার ই বই আছে তারঁ ৬৫ টির মতো, উপন্যাস ১৩টির মতো।লিখেছেন ভ্রমণকাহিনী ও।আবার তার ই সৃষ্টি ভান্ডারে আছে শিশু সাহিত্য।। আর চিত্রকলা আছে প্রায় ২হাজারের কাছাকাছি।(রবীন্দ্র সমগ্র, প্রকাশক– পাঠক সমাবেশ)
বললাম তো, আমি যদি আজ তারঁ সব সৃষ্টি নিয়ে কথা বলতে যায় তাহলে আজ আর শেষ হবে না।।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ, তিনি এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরলোকে পাড়ি জমান।।হয়ত প্রকৃতি প্রেমি এই মানুষ টিকে সৃষ্টিকর্তায় বিদায় দিতে চাইছিলেন নাহ।তাই হয়তো প্রকৃতি যেন তারঁ বিদায় বেলায় কাদতেঁ পারে তারঁ জন্য ই হয়ত ২২শে শ্রাবণ ই তারঁ মৃত্যু হয়েছিলো।।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবসে রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। লহ প্রণাম,লহ প্রণাম।।