উল্টোসুর
বকুলকে ‘বিদাশ’ পাঠানোর বড় আশা ছিল বজলু মিয়ার। কিন্তু বকুল চাইতো পড়ালেখা করে দেশেই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার।
মেঘে মেঘে অনেক বেলা পেরিয়ে যাবার পর বজলু মিয়ার স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল বটে। কিন্তু, ‘বিদেশি’ ছেলের এক পত্রে বকুল মিয়া স্ট্রোক করলেন এবং সে রাতেই ইহজনম ত্যাগ করলেন!
পত্রে লেখা ছিল- “আব্বাজান, আমি স্থানীয় এক মেয়েকে বিয়ে করেছি। এখানেই স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছে। চিন্তার কোনও কারণ নাই। আমরা ভালো আছি। আম্মার কাছে খবরটা পৌঁছায়েন”!
সম্পাদক
সোহরাব খান একটি অনলাইন পোর্টাল খুলেছেন সম্পাদক হওয়ার খাহেশ মেটাতে। মোটামুটি ভালই চলতে লাগল তার সম্পাদকগিরি। কিন্তু, যতটা গর্জে ততোটা বর্ষে না আসলে। তিনি সবসময় যতটুকু ব্যস্ত থাকেন, সেটাকে বাড়িয়েচাড়িয়ে আরো বড় করে বলেন। একদিন তিনি তার তুমুল ব্যস্ততার ফাঁকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন— ”পুরো জাতি অন্ধকারের দিকে ধাবমান, সামাণ্য একটা আর্টিকেলেও হাজারটা বানান ভূল থাকে।”
চেকইন
তোরাব আলী বিমানবন্দর রেলস্টেশনে পাঁচটাকা দামের চা খেতে খেতে এয়ারপোর্টের ভিআইপি লাউঞ্চে কফি খাওয়ার চেকইন দিলেন ফেসবুকে। মর্জিনা বেগম কমেন্ট করলেন— ”কোন দেশে যাচ্ছো?” তোরাব আলী রিপ্লাই দিলেন— ”গফরগাঁও যাচ্ছি, ট্রেনের অপেক্ষায় আছি আপাতত”!
লেখক-যাইফ মাশরুর