ইভান আহমেদ রাকিব
কবরস্থানের এরিয়া টুকু পার হতে ভয় হতো। অনেক ভয়। চারপাশে রক্ষাবসত যে দেয়াল দেওয়া হইছে তা দেখলেই শরীল শীতল হয়ে যেতো মনে হতো আমি এখনি শেষ হয়ে যাব!
শ্যাওলা পড়া দেয়ালে রক্তের চাপ দেখতে পেতাম ভংঙ্কর দৃশ্য এগিয়ে আসছে আমার দিকে।
হঠাৎ ঘুমের ঘরে অসহমান চিৎকার!
সব ঘটনা খুলে বললাম গভির জঙ্গলের ফকির অর্শ্রিকে! তিনি নাকি যাদু কর বাবা বলেছিলো।
নিঃশব্দ বনের মাঝে পূর্নিমার জ্যোস্না জ্বল জ্বল করছে গাছের পাতা হাওয়ায় দুলছে। এই নির্জন রাতে বনের মাঝে ছোট্র কুঁড়েঘরে অর্শ্রির সামনে হাঁটুগেড়ে মেঝেতে বসে আছি। আমাদিগদের ঘিরে আছে মোমবাতির আলো অর্শ্রির সামনে লোহার পাত্রে পানি রাখা
বীনাআগুনে পানি ফুটছে। অর্শ্রি আমাকে বললো ফুটন্ত পানিতে হাত দিতে আমি তাই করলাম! ধীরে ধীরে পানি রক্তের রূপ ধারন করলো।
তখনি বনের মাঝে ঝড়ের বেগে বাতাস ছুটলো। হঠাৎ পানিতে একটা মুখ দেখতে পেলাল ভংঙ্কর মুখ।
তারপর ওই মুখটায় আগুন ধরতে লাগলো আর চিৎকার শুনলাম। এমন সময় বাতাসের বেগ আরো বেড়ে গিয়ে মোমবাতিগুলো নিভে গেলো। আলোহীন ঘরে শব্দ শুনতে পেলাম কেউ হাসছিলো।
তারপর কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারলাম না।