-জুবায়ের ইবনে কামাল
বাংলা সাহিত্যের অনন্য এক লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার লেখা গদ্যের মধ্যে ভাষাশৈলীর অনন্য রূপ লক্ষ্য করা যায়। আর যারা রহস্য পছন্দ করেন তাদের জন্য এবার বিভূতিভূষণের বেশ কয়েকটি রোমাঞ্চকর বইকে এক মলাটে আটকে দিয়েছে বর্ণায়ন প্রকাশন। বইটির নাম দেয়া হয়েছে “রহস্য-রোমাঞ্চ সমগ্র”।
এই সমগ্রটিতে রয়েছে বিভূতিভূষণের লেখা রগরগে রোমাঞ্চের চারটি উপন্যাস। আর তা হলো-
১. হীরা মানিক জ্বলে
২. চাঁদের পাহাড়
৩. মরণের ডঙ্কা বাজে
৪. মিসমিদের কবচ
“হীরা মানিক জ্বলে” বইটিতে বিভূতিভূষণ আপনাকে নিয়ে যাবে রোমহর্ষক রোমাঞ্চকর অভিযান কাহিনীতে। জমিদারের সন্তান সুশীল তার চেনা জগতকে একপাশে ফেলে চলে যায় রহস্যের এক যাত্রায়। যা থেকে ফিরে আসার সম্ভবনাও ক্ষীণ। কি হয়েছিলো শেষে? আদৌ কী সে ফিরতে পেরেছিলো?
“চাঁদের পাহাড়” লেখা হয়েছে ১৩৪৪ সালে। সঙ্করের বনভূমিতে এসে হারিয়ে যাওয়া এবং লেখকের অদ্ভুত বর্ণনা যেন আপনাকেও সেই অনুভূতি দিতে বাধ্য করবে। অনেকেই এই ঘটনা অবলম্বনে সিনেমা দেখে এটার প্রেমে পড়ে গেছেন বহুত আগেই।
“মরণের ডঙ্কা বাজে” উপন্যাসটি সমগ্রটিতে থাকা অন্য তিনটা উপন্যাস থেকে বেশ আলাদা। উপন্যাসের শুরুটা চিন-জাপানের নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে শুরু হলেও ঘটনার মারপ্যাঁচে লেখক যে কখন আপনাকে রহস্যের মায়াজালে ফাঁসিয়ে দেবেন তা আপনি ধরতেই পারবেন না।
“মিসমিদের কবচ” বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যসব রহস্য কাহিনী থেকে ভিন্ন স্বাদের এক গোয়েন্দা কাহিনী। কাহিনীর শুরুটা এক খুনেএ রহস্য উদঘাটনের হলেও পরে সেটি রূপ নেয় অদ্ভুত এক রোমাঞ্চকর ঘটনায়।
বাকীসব কথা পরে। সামনের ঈদ ছুটিতে আপনাকে কিছুদিনের জন্য গর্তবাসী করতে এই বইটি যে কোন কমতি রাখবেনা তা হলফ করে বলে দিতে পারি।