ফাতেমা ইসলাম পাপিয়া
কিশোর যাইফ মাসরুর। ভাবুক চোখে আকাশের পাখি দেখে, ঘুড়ি উড়তে দেখে, খেয়াল করে বাড়ির পাশের বিবর্ণ নিমগাছ থেকে পাশের বাড়ির ভাঙা দরজাটুকুও। দেখে দেখে ধরে রাখে মাথার ভেতর, টুকে রাখে খাতার পাতায়।
লেখা নিয়ে মাসরুর আরো বলে-“আমি গল্পের মানুষ, গল্প লিখতে ভালোবাসি। গল্প বলতে ভালোবাসি। আমার মাথা ভর্তি গল্প, শুধু গিজগিজ করে। মাথায় গল্প গিজগিজ করছে, অথচ আমি লিখতে পারছি না। এরকম কোনো মুহূর্ত এলে আমার পাগল পাগল লাগে। খুব কষ্ট হয় তখন।”
প্রথম বইয়েই তিনি পাঠকবৃন্দদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পান বলে জানান- “প্রথম বইটি লিখে পাঠকের আশাতীত সাড়া ও ভালোবাসা সবই কল্পনাতীত ছিল। আলহামদুলিল্লাহ!”
লেখালেখির বিষয়ে জানতে চাইলে বলে-” উপন্যাস এবং গল্প আমার কাছে পিতা ও পুত্রের মতো মনে হয়। গল্প যেহেতু লিখিই, উপন্যাসও লিখবো। তবে একটু সময় প্রয়োজন।” গল্পতেই এখনো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে যাইফ, তবে হয়ত আগামী বছরই তার লেখা একটি উপন্যাসও আমরা পেতে পারি।
তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে বলে-” ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে; একজন লেখকের পাঠকই তো সব। সে হিসেবে অবশ্যই আমি চাইবো পাঠকের খুব কাছের কেউ হতে, একদম আপন।”
লেখালেখি করেই জীবন কাটিয়ে দিতে পারলেই নিজেকে মনেপ্রাণে একজন সুখী মানুষ ভাবতে পারবে বলে জানায় তরুণ গল্পকার যাইফ মাসরুর। “কুকুর কাহিনী”র পর এবার তার দ্বিতীয় গল্পের বই “আম্মাজান আমাকে মিথ্যা বলেছিলেন” পাওয়া যাবে দেশ পাবলিকেশনের(৪৫২-৪৩৫) স্টলে।