মাসুদ আনসারীঃ ঢাকার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংগঠন সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচারের সাহিত্য প্রণোদনা পুরস্কার পেলেন এই সময়ের তরুণ কবি ও সাংবাদিক হাবীবাহ্ নাসরীন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা আমার মেয়ে’ ও প্রথম উপন্যাস ‘তুমি আছো, তুমি নেই’ বই দুইটির অভাবনীয় সাড়া এবং তার লিখনীর শিল্পকর্মের জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরস্কার হাতে পাননি, তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হবে বলে জানান সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচারের সংশ্লিষ্টরা।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি নিয়ে হাবীবাহ্ নাসরীন বলেন, “অনুভূতি অবশ্যই ভালো। যেকোনো কাজের জন্য পুরস্কার পেলে কাজের আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। আমারও দায়িত্ব বেড়ে গেল পাঠকদের ভালো লেখা উপহার দেয়ার।” এই পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে লেখালেখি নিয়ে জীবনের প্রথম কোনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। সংগঠনটি ২০১১ সাল থেকে এই পুরস্কারটি নিয়মিত দিয়ে আসছে।
হাবীবাহ্ নাসরীনের লেখালেখির হাতেখড়ি একদম ছোটবেলা থেকে। নিজের ইচ্ছা থেকেই দ্বিতীয় শ্রেণীতে থাকতে তিনি নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন। তার সে লেখালেখির যাত্রা এখনো থামেনি, নিয়মিত লেখালেখি করে যাচ্ছেন। কবিতা লেখালেখিতে বেশি মনযোগ তার, তবে ইদানীং গল্প এবং উপন্যাসেও মনযোগ দেখা যাচ্ছে। স্বীকৃতি পেতে অবদান রাখা গেল বইমেলার উপন্যাস ‘তুমি আছ, তুমি নেই’ তারই প্রমাণ! গেল বইমেলায় তার আরো একটি শিশু কিশোর উপযোগী গল্পের বই বের হয়, এটিও পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। হাবীবাহ্ নাসরীন বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যমের লাইফস্টাইল বিভাগের বিভাগীয় এডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি জাতীয় কয়েকটি দৈনিকে নিয়মিত ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল নিয়ে ফিচার কন্ট্রিবিউট করতেন।
যে দুইটি বইয়ের জন্য কবি হাবীবাহ্ নাসরীন পুরস্কার পাচ্ছেন, দুইটিই প্রকাশ করে দেশের প্রথমসারির ও তারুণ্য নির্ভর প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান দেশ পাবলিকেশন্স। তার এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়ে দেশ পাবলিকেশন্সের কর্নধার অচিন্ত্য চয়ন বলেন, “হাবীবাহ নাসরীন একজন মেধাবী মেয়ে, তার লেখার হাত অনেক প্রশস্ত। কবিতা খুব ভালো লেখে। আমার বিশ্বাস সে যদি তার এই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারে তাহলে অনেক দূর যেতে পারবে। তার এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে প্রকাশক হিসেবেও আমিও আনন্দিত হয়েছি।”