লক্ষ্যহীন ভবঘুরে যেমন ঘুরে বেড়ায়
তেমনি পৃথিবীও ঘুরছে
নিজ কক্ষপথে
ঘুরছে তেমনি সময়ের প্রতিটি
অস্ফুট বিন্দু সময়
সাথে নিয়ে যায়
আয়ুষ্মান কাল
এবং
প্রতিটি স্মৃতি দিয়ে মুছে যায়
আরেকটি স্মৃতি
পৃথিবীটা যেন নয় মন্দ।
পথিক এ পৃথিবী
ঘুরতে ঘুরতে
কত স্মৃতির সাক্ষী হয়েছে আজ
প্রত্যেকটি ক্ষণে ক্ষণে ঘটছে
হাজারো পরমাদ।
কোনটা ছেড়ে সে রাখে কোনটা মনে
শুদ্ধ ই বা পারে করতে;কতটুকু?
প্রকৃতির প্রক্রিয়া বড়ই জটিল…
মানুষেরা ছুটে চলে অবিরাম
এ চলার নেই কোন শেষ
অবশিষ্ট চিহ্নটুকু পর্যন্ত
আধো আলোক তো
আধো আঁধার এ ধরায়।
চেয়ে দেখো-কোন স্থান
গ্রহণ করেছে স্থবিরত্ব…?
বিরামহীন গতি,যেন গতিরই গর্ত
কেবল,জীবনাণ্বেষণ ও ছেদনের তরে
যেন এ এক অদৃশ্য মায়ার খেলা
বিন্দু বিন্দু সময়টা যে পেরিয়ে গেল
কখন…?
কেইবা পায় টের…?
যে কথা লিখছি আজ
হয়তো বা কেউ জানত না
বা জানাটা সুপ্ত ছিল
হয়তো কেউ ভাবছে
ছন্দহীন কিছু কথা
কেবলই অনর্থক
সময় নষ্ট করা।
কিন্তু
আমি বলব…
সময় যদিও ব্যয় হবে
তবে ব্যয় তো কত সময়ই করি
অজান্তে, কিংবা জেনেই
যদি খানিকটা বের করে নেই
অথবা
না-ই করলাম;
কাজের আলসেমীর ফাঁকে
একটু ভেবে নেই
আসলে আমরা কি চাই;
মুক্তি,শক্তি…
না।
এসব কিছুই চাই না।
সবই আসলে আপেক্ষিক।
যা আছে…
কেবল মোহ
যা সময়কে পার করবার জন্য প্রতিষ্ঠিত
চূড়ান্ত পর্যায়টাতে সবাই কিন্তু
সেই…পথিক বল বা ভবঘুরে
মৃত্যুর আগে কিংবা পরে।
কবিঃ
নূরজাহান অলব্রাইট
ছাত্রী, ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ।