মামনি চকলেট খাবা?
চকলেট!
হয়ত তানহার চোখগুলো চকচক করে উঠেছিল,হয়ত তানহা ভেবেছিল আঙ্কেল অনেক ভালো,বাবা চকলেট
দেয়,অঙ্কেলও বাবার মত আংকেল।এই ভেবেই তানহা গিয়েছিল শিপন আংকেলের সাথে।শিপন আংকেল বাসায়
নিয়ে যায়।
তারপর?
তারপর তানহা দেখে শিপন আংকেল আর শিপন আঙ্কেল নাই,তার জায়গায় একটা নেকড়ে বাঘ,বিশাল দাঁত
তার,বিশাল নখ তানহা লাফ দিয়ে সরে যেতে চাইলে বিশাল থাবা দিয়ে ধরে ফেলে তানহাকে, ধরে ছিঁড়ে ফেলে,ছিঁড়ে
খেয়ে ফেলে।পড়ে থাকে ছোট্ট জামাটা, ছেঁড়া স্যান্ডেল,ভাঙা কানের দুল,সব জায়গায় রক্ত আর তানহা জ্বলজ্বল
চোখে তাকিয়ে থাকে বাঘটার দিকে।
এরপর খবর-
ঢাকার বাড্ডা অঞ্চলের আদর্শনগর এলাকায় পাশাপাশি থাকত তানহা আর শিপনরা।দিনমজুর হইসেবে পরিচিত
থাকলেও ডাকাত হিসেবে পাঁচ বছর জেলে থাকার রেকর্ড রয়েছে।
চার বছরের ছোট্ট শিশু ধর্ষনের পর তাকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে শৌচাগারে ফেলে চলে যায় শিপন।তানহাদের
বাসায় একটা বিল্ডিংয়ে অনেকগুলো বাসা থাকলেও একটা মাত্র শৌচাগার।গত রোববার তানহাকে খাবারের লোভ
দেখিয়ে নিয়ে এসে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়।এরপর চিৎকার করলে গলা চিপে হত্যা করে পালিয়ে যায় শিপন।
রাত বারোটার দিকে আদর্শনগর থেকে ধরা পড়ে শিপন এবং তার কাজের স্বীকারোক্তিও দেয় বলে জানায়
ডিএমপি বা মহানগর পুলিশ।
লেখকঃ আহমেদ শম্পা দীপ্তি