সালমান সাদ
অকূলদরিয়া পাড়ি দিচ্ছি। লঞ্চে চড়ে। কেবিন ফ্লোরে। সদ্য কৈশোরত্তীর্ণ একটা মেয়ে। মুখের ত্বকে উজ্জ্বল শ্যামলা রঙ মাটির মত লেপে দেয়া। তার ওপর কেউ যেন মাখনের মত মাখিয়ে দিয়েছে লাবণ্যতা। দু’চোখে গোলগাল চশমা। মাথা ও মুখের চারপাশে গোল করে হিজাব বাঁধা। মায়াবী চেহারা। গুলুমুলু। চোখাচোখি। আধাআধি মুগ্ধতা। এপাশ থেকে। ওপাশ থেকেও। একবার এসে উঁকিও মেরে গেল। কৌতুহলের পাশাপাশি অন্যকিছুও ছিল তার চোখের তাকানোয়। হিজাবের রঙ কমলা। পুরো পোষাক কমলারঙে আবৃত। মাথার ভেতর মৃদুমন্দু ঘোরের মতন আমার একটা কিছু তৈরি হলো।
ইশ! যদি একটু পরিচিত হতে পারতাম!
ইশ! যদি একটু কথা বলতে পারতাম!
ফেসবুকে চেক ইন দিলাম একটা। মেঘনার বুকে ভাসছি। সাথে একটা ছবিও। পটাপট কয়েকটা লাইকের সাথে তিন-চারটে কমেন্ট। একটা মেয়ে কমেন্ট দিল, ভালো করে তার প্রোফাইল ঘাঁটলাম – নাম সাদিয়া সোহানা – যে কখনোই আমার কোন পোস্টে কি ছবিতে লাইক কমেন্ট করে না।
-কই যান?
- চাঁদপুর।
- হি হি, আমার বাড়িও চাঁদপুর।
- ভালো তো, দাওয়াত দিন।
-ইঁলিশমাছ ছাড়া আর কিছু কিন্ত খাওয়াতে পারবো না!
- বাড়িতে সর্ষেবাটা আছে তো?
- হি হি হি
আপনার পেছন দিকে তাকান তো একটু!
তাকালাম। চমকে গেলাম। মুখ টিপে টিপে হাসছে ওই হিজাবি মেয়েটা, ফেসবুকে নাম তার সাদিয়া সোহানা!