তানভীর ইবনে কবিরঃ
চোখে মোটা ফ্রেমের কালো চশমা আর একহাতে অফিসের ব্যাগ। অতিরিক্ত সৎ হওয়ায় সংসারে নেমে এসেছে দৈন্য, তেমনি পরিবার স্বজনের নিকট হতে হচ্ছে চক্ষুশূল। কর্মক্ষেত্রেও তেমনই একজন লোক। অফিসের কলিগরা তাকে ‘অনেস্টি স্যার’ বলে ডাকে। অন্যায়ে আপোষহীন, সেটা হোক ঘরে কিংবা বাইরে। তবে যখন প্রশ্ন নিজের সন্তানের জীবন নিয়ে, তখন? হয় নিজের আদর্শ বিকিয়ে সন্তান কে বাঁচাও নয়তো চোখের সামনে সন্তানের নিষ্পাপ জীবন বিসর্জনের বিনিময়ে আদর্শ কে টিকিয়ে রাখ।
হ্যা, আফিসের গল্প বলছিলাম। গল্পকার মাহতাব হোসেনের গল্প ‘তেল’ অবলম্বনে জনপ্রিয় তরুণ নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ নির্মাণ করেছেন নাটক ‘লোকটি সৎ ছিল’।
নাটকের আসিফ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্ব এবং স্ত্রী মেরিনা চরিত্রে দেখা গেছে ইফফাত তিশা কে। নাটকের শুরুটি ছিল প্রেমে সম্পর্ক দিয়ে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে আসিফ কে বিয়ে করেন মেরিনা। তারপর তাদের সাংসারিক জীবন। আর এই সাংসারিক জীবনের মাঝে নির্মাতা বান্নাহ ফুটিয়ে তুলেছেন সৎ ও বাবার মতাদর্শে বেড়ে উঠা আফিস চরিত্র কে। আর তার সাথে আরো তুলে ধরেছেন মধ্যবিত্ত পরিবারে সৎ হয়ে বেঁচে থাকার কঠিন চিত্র।
কলমের খোঁচাতে নিজের পরিবারের দুঃখ কষ্ট ঘোচানোর পথা থাকা সত্ত্বেও নিজের সততার জন্য তা করেন নি। অফিসের কলিগদের সাথে লড়াই করেছেন নিজের সততা কে বাঁচিয়ে রাখতে। মেয়ের অসুস্থতার পরেও তার সততা কে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেন নি। মেয়ের জীবন কে পরোয়া না করে বিবেকের কাঠগড়া দাড় করিয়েছিলেন নিজের সততা কে।
বর্ষবরণ উপলক্ষে নাটকটি অনলাইনে মুক্তি পাই। ইতোমধ্যে নাটকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচিত হয়েছে। নাটকের অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন, সিয়াম নাসির, শোয়েব মুনির, প্রণীল, রিকি খান, সীমান্ত চৌধুরী।
নাটকের শেষ অংশে নির্মাতা সত্যের, সততার, সৎ মানুষের জয় দেখিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন, সত্যি যেমন কখনো পরাজিত হয় না তেমনি সৎ মানুষও কখনো পরাজিত হয় না।