মাছের মাথা খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? জানুন গবেষণালব্ধ উপকারিতা
বাংলাদেশের রন্ধনসংস্কৃতিতে মাছ শুধু খাদ্য নয়, এক ধরনের আবেগ। তবে মাছের মাথা নিয়ে অনেকের আগ্রহ থাকলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা তুলনামূলকভাবে কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের মাথা শুধু স্বাদের দিক দিয়েই নয়, পুষ্টিগুণেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কিছু উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো:
১. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি:
মাছের মাথায় থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড স্নায়ুকোষের কার্যকারিতা উন্নত করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং স্নায়ুবিক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
২. চোখের যত্নে কার্যকর:
ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস:
ওমেগা-৩ খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদ্রোগের সম্ভাবনা কমায়।
৪. হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে:
মাছের মাথায় প্রচুর ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে, যা হাড় গঠন ও দাঁতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
৫. মানসিক চাপ ও অবসাদ কমায়:
ওমেগা-৩ মুড স্ট্যাবিলাইজ করতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ভূমিকা রাখে।
৬. ত্বকের যত্নে সহায়ক:
ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিডসমূহ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, দেশি মাছের মাথা—বিশেষত রুই, কাতলা, মাগুর, তেলাপিয়া ইত্যাদির মাথা তুলনামূলক বেশি পুষ্টিকর। তবে যাদের কোলেস্টেরল বা হৃদরোগ রয়েছে, তাদের জন্য মাছের মাথা খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া উচিত।