সদ্য সমাপ্ত নিউজপেপার অলিম্পিয়াড এর দেশসেরা পত্রিকাবিশারদ সাদিয়া শান্তার সাথে এক আড্ডায় মেতেছিলেন চ্যানেল আগামীর প্রতিনিধি ও নিউজপেপার অলিম্পিয়াড কমিটির গবেষণা সম্পাদক মহিবুল ইসলাম বাঁধন। সেখানেই সাদিয়া জানালেন তার দেশসেরা হওয়ার অনুভূতি আর পথচলার গল্প। সেই গল্পই আজ শোনাচ্ছে চ্যানেল আগামী।
আগামী প্রতিনিধি: অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের শুরুটা হয়েছিল কেমন?
সাদিয়া শান্তা: ফেসবুকে হঠাৎ একদিন এক বন্ধুর শেয়ার করা একটা পোস্ট এর মাধ্যমে অলিম্পিয়াড সম্পর্কে জানতে পারি। আগ্রহবশত একটু ঘাটাঘাটি করে অলিম্পিয়াড সম্পর্কে জেনে নিলাম। বেশ ভালো লেগেছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম একেবারে শেষ দিনে।
আগামী প্রতিনিধি: দেশসেরা পত্রিকাবিশারদ হবার পরবর্তী অনুভূতিটা কেমন?
সাদিয়া শান্তা: আসলে এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না । আমি এখন দেশসেরা পত্রিকাবিশারদ। এটা ভাবতেই অবাক লাগে। দেশসেরা হবার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই অনেক মানুষের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা পেয়েছি। সবাই আমাকে ফোন করে কিংবা ফেসবুক এ অভিনন্দন জানাচ্ছে। আর যেহেতু আমি প্রথম পত্রিকা বিশারদ,তাই আমার ভালোলাগার দিকটা একটু বেশিই ।
আগামী প্রতিনিধি: অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে কি পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে?
সাদিয়া শান্তা: একটা ব্যাপার হলো,পত্রিকা এমন একটা বিষয় যা আমার,আপনার সকলেরই পড়া উচিত। পত্রিকা পড়লে জ্ঞান অর্জন হবেই। তাই এখানে পড়ালেখা ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই। কেননা আজকের সমাজে আপনি শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন না।
আগামী প্রতিনিধি: এই পথচলায় এমন কারোর কথা বলবেন যার জন্য আজ এখানে আসতে পেরেছেন? দেশসেরা হয়েছেন?
সাদিয়া শান্তা: মূলত মায়ের অনুপ্রেরণা আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। পাশাপাশি বাবাও অনেক সাহস জুগিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তাছাড়াও রিফাত নামে আমার এক বন্ধু আমাকে সবসময় সমর্থন করেছে, প্রতিযোগিতায় যেন বিজয়িনী হতে পারি সে কথা বারবার বলেছে।
আগামী প্রতিনিধি: অলিম্পিয়াডের সার্বিক আয়োজন নিয়ে যদি কিছু বলেন?
সাদিয়া শান্তা: আসলে এই ধরণের অলিম্পিয়াডের আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। নিউজপেপার অলিম্পিয়াড কমিটি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি সবসময়ই এই অলিম্পিয়াডের সাফল্য কামনা করি।