ভালোবাসা, সম্মান ও পারস্পরিক মর্যাদা দিয়েই গড়ে ওঠে সুখী দাম্পত্য জীবন। বিশেষ করে স্ত্রীর গুণাবলি তুলে ধরা, তার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ করা একজন স্বামীর দায়িত্ব ও সচেতনতার পরিচয় বহন করে।
ইসলামিক ইতিহাসে নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই এ ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি শুধু স্ত্রীর প্রশংসাই করেননি, বরং বারবার তাদের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও নবীজীর স্মৃতিতে ছিলেন তাঁর প্রশংসা, এমনকি হজরত আয়েশা (রা.) স্বীকার করেছেন নবীজীর খাদিজা (রা.)-এর প্রতি অবিরাম ভালোবাসার কথা শুনে তাঁর মাঝে ইর্ষার ভাবও জন্ম নিয়েছিল।
অন্যদিকে, নবীজী হজরত আয়েশা (রা.)-এর গুণাবলীও সম্মানিত করেছেন। নারীদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া ও মরিয়ামের পাশাপাশি তিনি পূর্ণতায় ছিলেন। হাদিসে আয়েশার মর্যাদা সারিদের মতো, যা অন্যান্য খাদ্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। এর মাধ্যমে স্পষ্ট যে, নবীজীর স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা শুধু বাহ্যিক নয়, বরং জ্ঞান, চরিত্র ও পবিত্রতার গভীর প্রশংসাও ছিল।
স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ কেবল আবেগের কথা নয়, এটি নবীজীর সুন্নত এবং দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাস ও শান্তি বৃদ্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। স্বামী যখন স্ত্রীর প্রশংসা ও ভালোবাসা ব্যক্ত করেন, তখন তা সম্পর্ককে দৃঢ় ও মধুর করে।