স্বাস্থ্য সচেতনতার যুগে অন্ত্রের সুস্থতা এখন শুধু হজমের সীমায় সীমাবদ্ধ নয়—এটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বিপাকক্রিয়া, এমনকি মনমেজাজও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকার ওপর নির্ভর করে। এমন অবস্থায় রান্নাঘরের পরিচিত কিছু মসলাই হতে পারে প্রাকৃতিক চিকিৎসা। ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদন অনুসারে, নিচের সাতটি মসলা অন্ত্রের জন্য বিশেষভাবে উপকারী:
হলুদ: এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান প্রদাহ কমায় এবং মাইক্রোবিয়াল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) ও ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজের (IBD) উপসর্গ হ্রাস করতে কার্যকর। গোল মরিচের সঙ্গে গ্রহণ করলে এর শোষণ আরও বাড়ে।
আদা: হজমশক্তি বাড়ানো ও বমিভাব কমানোর পাশাপাশি আদা প্রদাহ কমায় এবং অন্ত্রের গতি উন্নত করে। নিয়মিত আদা চা অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মৌরি: এর অ্যান্টিস্পাসমোডিক ও কার্মিনেটিভ গুণ অন্ত্রের পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে, পেট ফাঁপা ও গ্যাস দূর করে। খাবারের পর মৌরি চিবিয়ে খাওয়া বা চা হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
জিরা: এটি পেট ফোলাভাব দূর করে এবং আয়রনের ভালো উৎস হিসেবে পুষ্টির শোষণ উন্নত করে। হজমে সহায়ক এই মসলা প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ধনিয়া: ধনিয়ার পাতা ও বীজ হজমে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমাতে কার্যকর। এটি লিভার ও অন্ত্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক।
জোয়ান: আয়ুর্বেদ মতে, জোয়ান গ্যাস ও পেট ফাঁপা প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর। এটি রান্নায় যোগ করা কিংবা খাবারের পর খাওয়ার অভ্যাস বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।
গোল মরিচ: এতে থাকা পাইপেরিন উপাদান হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং অন্য পুষ্টি উপাদানের শোষণ বাড়ায়। এনজাইম কার্যকারিতাও বাড়াতে সহায়ক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে এসব প্রাকৃতিক মসলা যুক্ত করলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি উপকার মিলতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি, হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (NIH)