পতৌদি পরিবারের নবাব ঘরের কন্যা এবং অভিনেত্রী সোহা আলি খান স্বাস্থ্য ও ফিটনেসকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করেন। শৃঙ্খলাবদ্ধ শরীরচর্চার পাশাপাশি তিনি তার খাদ্যাভ্যাসে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন। সম্প্রতি তার দৈনন্দিন রুটিনে একটি নতুন অভ্যাস যুক্ত হয়েছে, যা তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ ও ফিট রাখতে সহায়তা করছে।
গত তিন মাস ধরে সোহা আলি খান প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চালকুমড়ার রস পান করছেন। যদিও চালকুমড়ার স্বাদ অনেকের কাছে তেতো মনে হতে পারে, সোহা আলি তার বিশুদ্ধ রস পান করেন কোনো ধরনের অতিরিক্ত উপাদান ছাড়াই। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই অভ্যাসের সুফল অনুভব করছেন এবং বলছেন, এটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে শরীরকে শীতল রাখে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
সোহা আলি খান আরও জানান, চালকুমড়ার রস বানানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। রস করার আগে এক টুকরো চালকুমড়ার স্বাদ পরীক্ষা করা উচিত এবং যদি তেতো হয়, তাহলে পুরো ফলটি ব্যবহার না করে নতুন এবং পাকা চালকুমড়ার রস তৈরি করতে হবে। বিশ্বস্ত দোকান থেকে তাজা ও ভালো মানের চালকুমড়া সংগ্রহ করাই শ্রেয়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে খালি পেটে চালকুমড়ার রস পান লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে। এটি অম্বলতা এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, চালকুমড়ার উচ্চ পানির পরিমাণ শরীরকে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করে হাইড্রেটেড রাখে।
তবে সাইনাসাইটিস, অ্যাজমা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য চালকুমড়ার রস সবসময় উপকারী নাও হতে পারে, কারণ এর শীতল প্রকৃতি কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়াতে পারে। অন্যদের জন্য খালি পেটে ১০০ থেকে ১৫০ মিলিলিটার চালকুমড়ার রস (যে কোনো ধরনের লবণ, চিনি বা লেবু ছাড়াই) পান করা উপকারি বলে অভিজ্ঞরা মনে করেন।
সোহা আলি খান নিজেও এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে স্লিম ও ফিট থাকার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং এটি তার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।