রাবেয়া হোসেন এমি
ভাবুন তো কে আপনার প্রিয় সঙ্গী, যে রোদ কিংবা বৃষ্টির হাত থেকে আপনাকে বাঁচায়। যার ছায়াতলে নিশ্চিন্তে পথ চলা যায়। যাকে ছাড়া গ্রীষ্ম বর্ষার দিনগুলো একদম চলে না।হ্যাঁ, সেই রোদ বৃষ্টির সঙ্গী ছাতার কথাই বলছি। রোদ বাঙ্গালীর গা সাওয়া।রোদে পুড়তে রাজি কিন্তু ছাতা মেলতে রাজি না। আবার যখন মাথার উপর বৃষ্টির দেখা মেলে তখন মনে পড়ে ঘরের কোনে পড়ে থাকা ছাতাটির কথা। ছাতা কেবল আমাদের রোদ বৃষ্টির থেকেই রক্ষা করে না,শরীরকে অতি বেগুনী রশ্মী থেকে এবং মাথার চুলকে রক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্থ আবহাওয়া থেকে।তাই নিজের পাশাপাশি বাচ্চাদেরও ছোটবেলা থেকে ছাতা ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলা উচিত। এককালে ব্যবহারের জন্য হলেও এখন ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গও বটে। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও এখন বাহারি রঙ ও ডিজাইনের ছাতা ব্যবহার করছে।
আজকাল পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে অনেকেই ছাতা ব্যবহার করেন। তবে, রঙ ও ডিজাইনের পাশাপাশি ভালো মানের ছাতা কেনার দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, বাতাসের তীব্রতায় ছাতা উল্টে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মুখোমুখি হতে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতির। সামনে আসছে বৃষ্টির মৌসুম, তাই এ বিষয়টি মাথায় রেখে শক্ত-মজবুত ছাতাকে করে নিন আপনার সঙ্গী। ছাতা ব্যবহারেও একটু সচেতন হওয়া জরুরী। ছাতা ব্যবহারের পর ভালো করে তা সংরক্ষণ করুন, না হলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাজারে নানা রঙ আর আকৃতির স্টাইলিশ ছাতা পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েরা লাল, সবুজ, হালকা কমলা, বেগুনি, বিভিন্ন প্রিন্টের পাতার নকশা ইত্যাদি রঙের ও ডিজাইনের ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। আর পোশাকের সঙ্গে মিল রেখেও ছাতার রঙ বেছে নিতে পারেন। ছেলেরা ব্যবহার করতে পারেন গাঢ় সবুজ, চকোলেট, ব্রাউন ও নীল রঙের ছাতা। তবে ক্রেতা হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত, মান, সেলাই, কাপড় ও টেকসই স্টিল দেখে কেনা। তাতে দাম একটু বেশি পড়লেও টিকবে অনেক দিন।
কোথায় পাবেন: রাজধানীর নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, মৌচাক মার্কেট, ফরচুন শপিং মল, কর্ণফুলী মার্কেট, বেইলি স্টার, ওয়েস্টার্ন প্লাস, ওয়েস্টার্ন প্লাজাসহ বাজারে দেশি-বিদেশি এসব ছাতা পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন মেগাশপেও ব্র্যান্ডের ছাতা পাবেন।