তাশফিকাল সামি সবার কাছে ভিডিও ক্রিয়েটর হিসেবেই পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের চতুর্থ বর্ষে অধ্যায়ণ করছেন তিনি। এবার বইমেলায় ছোটদের জন্য “ঝাকানাকা বিজ্ঞান ” নামে একটি বই প্রকাশ করছেন তিনি। বইটি প্রকাশিত হয়েছে অধ্যায়ন প্রকাশনী থেকে এবং পরিবেশিত হবে তাম্রলিপি স্টলে। বইটির প্রচ্ছদ করেছে মুসাররাত আবির জাহিন। বইয়ের নানান বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সাথে…….
সীমান্তঃ ঝাকানাকা বিজ্ঞান বইটার নামটা দেখে মনে হচ্ছে বিজ্ঞানেরই কিছু একটা, আসলে বইটা কি নিয়ে?
সামিঃ এটি ছোটদের জন্য মজার একটি বিজ্ঞানের বই। সবসময় ছোটদের অনুযোগ শুনি তাদের জন্য সহজ করে লেখা বিজ্ঞানের বই খুব বেশি নেই। তাই এই বইটি লেখা। বিজ্ঞানের মজার খেলা, মাথায় কতো প্রশ্ন আসে, ভুল করে আবিষ্কারের মজার ঘটনা, ইন্টারনেটের যত প্রথম, বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোগ গুলোর শুরু গল্প -এমন কয়টি বিভাগে বিজ্ঞানের অনেকগুলো গল্প রয়েছে। বইটিতে অনেকগুলো ছবি রয়েছে লেখকের আঁকা! পাঠক পড়ে মজা পাবে, গল্পের ছলে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
সীমান্তঃ বই লেখার ইচ্ছে জাগলো কেন?
সামিঃ আমি টেন মিনিট স্কুলে প্রায় শখানেক ব্লগ লিখেছি। শিক্ষামূলক এবং বিনোদনমূলক লেখাগুলো বাংলাদেশের সর্বত্র শিশু-কিশোরদের কাছে ইতিবাচক একটি বার্তা পৌঁছে দিয়ে চলেছে। সেখান থেকেই বই আকারে বিজ্ঞানের মজার বিষয়গুলো সবার সামনে তুলে ধরার একটি তাগিদ অনুভব করেছি।
সীমান্তঃ আপাতত কি বই নিয়েই ব্যস্ত নাকি ভিডিও বানাতে?
সামিঃ একই সাথে সবগুলো কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছি! বই লেখার কাজ শেষ, এখন ভিডিও বানানোর কাজে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছি!
সীমান্তঃ টেন মিনিট স্কুলের শুরুর গল্পটা শুনতে চাই?
সামিঃ টেন মিনিট স্কুলে যোগদানের গল্পটি বেশ মজার! আমি কলেজে পড়ার সময় বেশ বিষণ্ণতায় ভুগতাম। পড়ালেখায় একদমই আগ্রহ পেতাম না। কি করবো ভবিষ্যতে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। তখন ফরহাদ হোসেন মাসুম ভাইয়ের ভোকাবুলারি কোর্স একরকম আশার সঞ্চার ঘটায়। আমার স্বপ্ন ছিল, আইবিএ-তে সুযোগ পেলে মাসুম ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি খোলাচিঠি লিখবো। সেই স্বপ্নটি একদিন সত্যি হয়। তার প্রায় ছয় মাস পর টেন মিনিট স্কুলে ব্লগ বিভাগটি চালু হয়। নতুন লেখক খোঁজার সময় একজনের মাথায় আসে আমার সেই খোলাচিঠির কথা! সেখান থেকেই পরিচয়ের সূত্রপাত। তারপর শখানেক ব্লগ এবং প্রায় অর্ধশত ভিডিও বানানো হয়েছে৷ সামনে আরো চমৎকার কাজ উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা রাখি।
সীমান্তঃ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সামিঃ যার নেশা ও পেশা মিলে যায়, সে ভাগ্যবান। সবসময় সৃজনশীল কাজের সাথেই যুক্ত থাকতে চাই। বাঁধাধরা কর্পোরেট চাকরিতে না গিয়ে মনের খোরাক মেটায় এমন কাজে সময় দিতে চাই।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেঃ গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত