রাশিয়া পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালাতে গত ১০ বছরে নার্ভ গ্যাসের মজুদ গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবিসিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে রাশিয়া যে শুধু হত্যার কাজে নার্ভ গ্যাসের ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে তাই নয়, সেই সঙ্গে দেশটি বিষাক্ত গ্যাস ‘নোভিচক’-এর মজুদ গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের স্যালিসবারি শহরে নার্ভ গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক রুশ দ্বৈত গুপ্তচর সের্গেই ক্রিসপাল ও তার ৩৩ বছরের কন্যা ইউলিয়া।
ওই ঘটনার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করেছে লন্ডন। যদিও রুশ সরকার একে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে নার্ভ গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতের দাবি, একটি ব্রিটিশ গবেষণাগার থেকে হয়তো রুশ গুপ্তচর হত্যা প্রচেষ্টার নার্ভ গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। বরিস জনসন তার সাক্ষাৎকারে মস্কোর এই দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন।
গত শুক্রবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, এ সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত প্রবল’ যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্যক্তিগতভাবে সেলিসবারি শহরে নার্ভ গ্যাস হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
নার্ভ গ্যাস স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে অকার্যকর করে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই গ্যাসের কার্যকারিতা প্রাণঘাতী সায়ানাইডের চেয়ে ২৬ গুণ বেশি। এক ঘনমিটার আয়তনের একটি কক্ষে কাউকে রেখে মাত্র ১০০ মিলিগ্রাম নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করা হলে এক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হবে।