চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, নতুন করে আলোচনায় এসেছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডার ঘোষণায়। তারা জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সময় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
২৮ জুলাই নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ট্রাস্টি কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ স্বীকৃতির ঘোষণা দেবেন। এ ঘোষণার পর যুক্তরাজ্য ও কানাডাও একই পথে হাঁটার কথা জানায়, যদিও কিছু শর্ত সংযুক্ত করেছে তারা।
যুক্তরাজ্য বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে না এলে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব নয়। কানাডা চায়, ফিলিস্তিনের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে হামাস যেন অংশগ্রহণ না করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের পেছনে আন্তর্জাতিক কূটনীতি যেমন কাজ করেছে, তেমনি রয়েছে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপও। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে সংসদের বহু এমপি স্বীকৃতির বিষয়ে চাপ দিয়েছেন। ফ্রান্সের ক্ষেত্রেও রয়েছে গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নের অভিপ্রায়।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—স্বীকৃতি আদৌ কী ধরনের প্রভাব ফেলবে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধুমাত্র স্বীকৃতি যথেষ্ট নয়। যুদ্ধ বন্ধ, মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ এবং একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি প্রশাসন গঠনে সহায়তা ছাড়া বাস্তবিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। এখন পর্যন্ত এই তিন দেশের পক্ষ থেকে এমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
লন্ডনের রয়াল হ্যালোওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ মালেক বেনসালাম এক নিবন্ধে লিখেছেন, “স্বীকৃতি শুধু প্রতীকী হতে পারে। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের অভাবে এটি বাস্তব রূপ পায় না।”