পাকিস্তানে আরও তিনজনের শরীরে পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে পরিচালিত আঞ্চলিক পোলিও নির্মূল নমুনা পরীক্ষাগার নতুন করে তিনজনের শরীরে পোলিও ভাইরাস শনাক্তের কথা জানিয়েছে।
এ নিয়ে দেশটিতে শুধুমাত্র চলতি বছরেই ১৭ জনের পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেলো।
ডন নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন করে নিশ্চিত হওয়া সংক্রমণের মধ্যে রয়েছে লাক্কি মারওয়াতের তাখতিকেলে ১৫ মাস বয়সী এক মেয়ে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মীর আলী তহসিলে ছয় মাস বয়সী এক মেয়ে এবং সিন্ধুর উমেরকোটের চাজরো থেকে পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলে।
এই সর্বশেষ সংক্রমণগুলো খাইবার পাখতুনখোয়াতে ১০টি, সিন্ধুতে পাঁচটি এবং পাঞ্জাব ও গিলগিট-বালতিস্তানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পোলিও ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না যায় সেজন্য প্রজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন করে পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পরিস্থিতি কঠিন করে তুলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিওর সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছে। শরণার্থীদের চলাচল এবং টিকাদান কর্মসূচির দুর্বলতার কারণে সীমান্ত-পারাপারের ঝুঁকি বেড়েছে।
খামা প্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে পোলিও সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বছর নয়টি নতুন সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
খামা প্রেসের মতে, ২৮ জুলাই প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে নয়টি নতুন পোলিও সংক্রমণের মধ্যে আটটি পাকিস্তানে এবং একটি আফগানিস্তানে শনাক্ত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে রোগ নির্মূলের লড়াইয়ে উদ্বেগজনক বার্তা বহন করে।
স্বাস্থ্য সংস্থাটি আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলি, পাকিস্তানের কোয়েটা, করাচি এবং খাইবার পাখতুনখোয়াকে সংক্রমণের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
টিকা গ্রহণে অনীহা পাকিস্তানের পোলিওর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় বাধা।
পাকিস্তানে নতুন করে আরও তিন শিশুর শরীরে পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে চলতি বছরে দেশটিতে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ জনে।
পাকিস্তানের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার আওতাধীন আঞ্চলিক পোলিও নির্মূল নমুনা পরীক্ষাগার সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ।
নতুন আক্রান্তরা হল—লাক্কি মারওয়াতের তাখতিকেলের ১৫ মাস বয়সী এক শিশু, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মীর আলী তহসিলের ছয় মাস বয়সী এক শিশু এবং সিন্ধুর উমেরকোট জেলার চাজরো এলাকার পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু।
এই সংক্রমণগুলোর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১০টি, সিন্ধুতে পাঁচটি এবং পাঞ্জাব ও গিলগিট-বালতিস্তানে বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে বারবার নতুন সংক্রমণ চিহ্নিত হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ছে।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। খামা প্রেস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ জুলাই প্রকাশিত বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরে দুই দেশ মিলে নয়টি নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে—যার মধ্যে আটটি পাকিস্তানে এবং একটি আফগানিস্তানে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষভাবে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল, পাকিস্তানের কোয়েটা, করাচি ও খাইবার পাখতুনখোয়াকে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংস্থাটি বলেছে, সীমান্ত অঞ্চলে শরণার্থী চলাচল, টিকাদান কার্যক্রমে দুর্বলতা ও টিকা নিতে জনগণের অনীহা—এই সংকট নিরসনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।