রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর জাপানের উপকূলে আঘাত হেনেছে সুনামি। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। পাপুয়া, উত্তর মালুকু এবং গোরোন্তালো প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঢেউয়ের উচ্চতা ০.৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার ভূকম্প ও জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা (BMKG) সম্ভাব্য সুনামির বিষয়ে সতর্ক করে দ্রুত উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের। বিশেষ করে দেশটির পূর্বাঞ্চলের পাপুয়া অঞ্চলে সম্ভাব্য ঢেউয়ের ঝুঁকি বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চল কামচাটকা উপদ্বীপে ৮.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ১৯.৩ কিলোমিটার, যা অগভীর হিসেবে ধরা হয় এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল আভাচা উপসাগরের উপকূলে, পেট্রোপাভলভস্ক-কামচাটস্কির পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে ১২৬ কিলোমিটার দূরে।
ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামির প্রথম ঢেউ আঘাত হানে এবং এরপর আরও বড় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। দেশটির কিছু অঞ্চলে ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (প্রায় ১০ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
কামচাটকার গভর্নর ভ্লাদিমির সোলোদভ জানিয়েছেন, এটি ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে একটি কিন্ডারগার্টেনসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপদ্বীপের কিছু অংশে ৪ মিটার (প্রায় ১৩ ফুট) পর্যন্ত সুনামির ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ক্রমাগত ভূমিকম্প এবং সুনামির আশঙ্কায় পুরো এশিয়া অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় বলয়ে অবস্থিত দেশগুলো ভূমিকম্প এবং সুনামির জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত।