মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে অন্তত ১৬ জনের মরদেহ রেখে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
জাতিসংঘের সেনাবাহিনীর সাথে সশস্ত্র জঙ্গীদের যুদ্ধে রাজধানী বাঙ্গুইয়ে এই বেসামরিক ব্যক্তিরা মারা যায়।
এই সহিংসতার প্রতিবাদ হিসেবে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মরদেহগুলো রেখে যায় তারা।
এই বিক্ষোভ সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জাতিসংঘ মিশন।
রবিবার বাঙ্গুইয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এক অভিযান শুরু করে সেখানকার জাতিসংঘ সেনা।
খ্রীস্টান সংখ্যাগুরু সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে সেলেকা মুসলিম বিদ্রোহীরা ক্ষমতা দখল করলে ২০১৩ তে অস্থিরতা শুরু হয়। এই সেলেকা বিদ্রোহীদের প্রতিহত করতে, মূলত খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী অ্যান্টি-বালাকা সেনাবাহিনী গড়ে ওঠে।
২০১৬ তে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসলেও তারা দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনত ব্যর্থ হয়। ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে।
মিনুস্কা নামে পরিচিত সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জাতিসংঘ মিশন জানিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা সাধারণ মানুষকে শোষণ ও অত্যাচার করছে, এমন তথ্য পাওয়ায় তারা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা জানায় যে তাদের সেনাবাহিনী আক্রমণের মুখে পড়ার পর বিদ্রোহীদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
তবে রয়টার্সকে একজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছে মঙ্গলবারের অভিযানের সময় জাতিসংঘ মিশনের সদস্যরা সাধারন মানুষের ওপর গুলি ছোঁড়ে।
বাঙ্গুই জেলার মেয়র আতাহিরু বালা ডোডো রয়টার্সকে জানিয়েছেন মঙ্গলবারের সংঘাতে ২১ জন নিহত হয়েছে।