গাজায় মানবিক সংকট প্রসঙ্গে ট্রাম্প: “যুদ্ধ দুঃখজনক, তবে গণহত্যা নয়”
গাজা উপত্যকায় চলমান খাদ্য সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি এই পরিস্থিতিকে ‘গণহত্যা’ বলতে রাজি নন। রোববার নিউ জার্সির গলফ রিসোর্ট থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,
“আমরা চাই ইসরাইল যেন গাজার মানুষকে খাওয়ায়। আমরা বড় অঙ্কের সহায়তা দিচ্ছি— মূলত খাবারের জন্য। আমরা চাই না কেউ না খেয়ে থাকুক বা অনাহারে মারা যাক।”
ট্রাম্প জানান, গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন ডলারের খাদ্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্যে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত মাত্র ৩ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এ সময় তিনি গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (Gaza Humanitarian Foundation – GHF) এর কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। ট্রাম্পের ভাষায়,
“স্টিভ উইটকফ দারুণ কাজ করছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ গত শুক্রবার দক্ষিণ গাজায় GHF পরিচালিত একটি সহায়তা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কার্যকর পরিকল্পনা তৈরির লক্ষ্যেই এই সফর।
তবে যখন এক সাংবাদিক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, ইসরাইল গাজায় ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে কিনা— তখন তিনি সরাসরি এ শব্দটি ব্যবহার এড়িয়ে গিয়ে বলেন,
“আমি তা বলব না। এটা খুবই দুঃখজনক। ওরা এক যুদ্ধে আছে।”
মানবিক সংকট চরমে
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, গাজায় বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলে আক্রমণের পর শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬০,৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে।
ইসরাইলি অবরোধের ফলে খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ইতোমধ্যেই বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে।