সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান জানিয়েছেন, তার দুই পুত্র কাসিম ও সুলেমান পাকিস্তানে এসে তাকে দেখতে যাবেন। তবে তারা দেশটির রাজনীতি বা কোনো আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবেন না।
শনিবার আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান বলেন, “আমি আমার ছেলেদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা কথা বলেছি। তারা কেবল আমার সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে আসবে, কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক দিন পর তাদের সঙ্গে কথা হলো, খুব ভালো লেগেছে।”
ইমরান খানের দুই পুত্রের মা জেমিমা গোল্ডস্মিথ, যিনি একজন ব্রিটিশ লেখিকা, প্রযোজক ও সাংবাদিক। ১৯৯৫ সালে ইমরান খান ও জেমিমার বিয়ে হয়েছিল, আর ২০০৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। কাসিম ও সুলেমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে মায়ের সঙ্গে বসবাস করছেন।
কারাগারে নিজের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলেও জানান ইমরান। তার ভাষ্যে, “এখন আবার পত্রিকা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি।”
পিটিআইয়ের ১০৮ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড
এদিকে ২০২৩ সালের সেনাবিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে পিটিআইয়ের ১০৮ জন সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারের পর ২০২৩ সালের মে মাসে দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপরই এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ৫৮ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য ও শীর্ষস্থানীয় নেতারাও। বাকি ৫০ জনকে ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত সাজা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিষদ ও সিনেটের নেতা ওমর আয়ুব খান এবং শিবলি ফারাজও দণ্ডিতদের তালিকায় রয়েছেন।
রায়ে আদালত জানায়, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সফল হয়েছে।
পিটিআই এক প্রতিক্রিয়ায় এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছে, “পাকিস্তানের বিচারিক ইতিহাসে এই প্রথম এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে যেখানে বিরোধী দলের নেতাদের কেবল ইমরান খানের পাশে থাকার জন্য সাজা দেওয়া হয়েছে।” দলটি জানিয়েছে, তারা এই রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে।