অানিস মিয়া
ডায়াবেটিস নামটি এখন সকলের কাছে খুব পরিচিত একটি নাম । খুব পবিচিত একটি নিত্যদিনের সঙ্গি হয়ে দাড়িয়েছে এই ডায়াবেটিস । যার পরিচিতি এখন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিটি ঘরে। ডায়াবেটিসের জন্য দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা , ডায়াবেটিসের জন্য এমন কোন Organism নেই, বরং বলা হয়, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, কায়িক শ্রম কমে যাওয়া, দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া এ কারনেই ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ।
আর এ কারনেই প্রতিবছর সারা বিশ্বে পালন করা হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ।বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হল বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশ্বময় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ক্যাম্পেইন, যা প্রতিবছর ১৪ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে । বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়,বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সাল-এ ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এমনকি সারা পৃথিবীর জন্য গুরুতর ঝুঁকি বহন করে-এমন সত্যটি জাতিসংঘ অনুধাবন করে ২০০৬ সালে একে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে।
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ কোটি এবং ২০৩০ সালে এ সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। আশির দশকে দেশে ডায়াবেটিসের প্রবণতা ছিল মাত্র দুই শতাংশের মতো। সেখানে আজ তা ঢাকা শহরেই প্রায় ১০ শতাংশ ছুঁয়েছে এবং প্রি-ডায়াবেটিসের (ডায়াবেটিস এর আগের ধাপ) হার আরো প্রায় ১০ শতাংশ।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলেও এর সামগ্রিক প্রবণতা প্রায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ। এভাবে বাড়তে থাকলে শুধু ডায়াবেটিসের কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। শুধু দেশেই এখন ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। সেই সাথে প্রতি বছর এক লাখ নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে। এবং পৃথিবীতে ২৫০ মিলিয়ন লোক ডায়াবেটিস নিয়ে জীবন যাপন করছে।