সানিলা আহমেদ
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার গোপালপুর অঞ্চলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। ওড়িশার পাঁচটি জেলা- গঞ্জাম, পুরি, গজপতি, খুরদা, জগতসিংপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে সকাল থেকেই। সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে ১৫ টি দল রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। ওড়িশার নিজস্ব বিপর্যয় মোকাবিলা দলও কাজ শুরু করে দিয়েছে।
রাজ্যের পাঁচটি উপকূলবর্তী জেলার অপেক্ষাকৃত নিচু অঞ্চল থেকে বুধবার তিন লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ১১০০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে। ১২৩ জন সন্তানসম্ভবা মায়েদের হাসপাতাল এ স্থানান্তর করা হয়েছে,জানায় সংবাদ সংস্থা ANI ।
অন্ধ্রপ্রদেশ এ ৭ জনের মৃত্যু এবং ওড়িশায় ১ জনের মৃত্যু। তন্মদ্ধে রয়েছে ৬ জন জেলে,৬২ বছরের একজন মহিলা যিনি মারা যান যখন তার উপর একটি গাছ আছরে পড়ে,অন্ধ্রপ্রদেশ এ ৫২ বছরের একজন পুরুষ যিনি মারা যান যখন তার ঘর ভেঙ্গে পড়ে,জানান State Disaster Management Authority (SDMA) ।
ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ২০০০ এরও বেশি বৈদ্যুতিক পোল ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বায়ুর তীব্রতার কারণে। যার ফলে ৪৩১৯ টি গ্রাম এবং ৬ টি শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় তিতলি খানিকটা নির্বল হয়ে গিয়েছে। গতকাল ২০ ঘণ্টা নৌ-যান বন্ধ থাকার দুপুর ২টা থেকে ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রুট সচল। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম,মংলা ও পায়রা বন্দর এ ৪ নং বিপদ সংকেত থেকে ৩ নং সংকেত এ ধাবিত করা হয়েছে। গতকাল তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) এর সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোক ব্যাবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রি মোফাজ্জাল হোসেইন চৌধুরী মায়া জানান যে,ঘূর্ণিঝড় তিতলির পূর্বাভাস তারা আগে থেকেই পেয়েছিলো (জানায় বাসস)। তিনি আরও বলেন,ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলাদেশের ১৯ উপকূলীয় জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। দুর্যোক মোকাবিলায় যথেষ্ট খাদ্য মোওজুদ করা হয়েছে। দুর্যোক মোকাবিলায় ফিল্ড অ্যাডমিন,অগ্নি নির্বাপক সংস্থা,আনসার,ভিডিপি,স্কাউট সহ ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়জিত রয়েছে।