সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, নিজেদের ভূমিতে বসবাসের অধিকার ইসরাইলের আছে। এমন একটি শান্তিচুক্তি দরকার যাতে সব পক্ষই স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করতে পারে। সোমবার প্রকাশিত মার্কিন ম্যাগাজিন আটলান্টিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমান এসব কথা বলেন। সাক্ষাতকারে ইসরাইলের এবং সৌদি আরবের কয়েকটি বিষয়ে অভিন্ন স্বার্থ নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। গত মাসের শেষ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা যুবরাজ সালমান সম্প্রতি ইসরাইলের ব্যাপারে বেশ খোলামেলাভাবে নিজেদের বক্তব্য বলে আসছেন।
সাক্ষাতকারে সালমানের বিভিন্ন বক্তব্য উদ্ধৃত করে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এটা তারই প্রমান। যদিও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে এখনো প্রকাশ্য স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রিন্স সালমান বলেন, ‘ইসরায়েল এবং আমাদের সৌদি আরব) অনেক বিষয়েই আগ্রহের মিল আছে। উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের অন্য সদস্য দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে অনেক বিষয়ে আগ্রহী।
ইহুদিরা নিজেদের পিতৃপুরুষের ভূমিতে একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বসবাস করতে পারে কিনা এমন এক প্রশ্নে সালমান বলেন, ‘নিজেদের ভূমির ওপর ফিলিস্তিনিদের মতো ইসরায়েলিদেরও পূর্ণ অধিকার আছে। এখন একটি শান্তিচুক্তি দরকার যাতে সব পক্ষই ও স্বাভাবিক একটি সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।’
রয়টার্স বলছে, সৌদি যুবরাজ সালমানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের উদ্দেশ্য তার দেশে মার্কিন বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। একইসঙ্গে প্রতিপক্ষ ইরানের প্রভাব বলয় ভেঙে সৌদির পক্ষে সমর্থন বাড়ানোও তার একটি উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের এক অস্যায় যুদ্ধে ইসরায়েল আরব ভূখণ্ড দখল করে নেয়। ওই ভূমি ফেরত দেয়ার ওপর ভিত্তি করে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরব এক ধরণের ঠান্ডা সম্পর্ক বজায় রেখে আসছিল। যদ্রি অভিযোগ আছে, দেশ দুটির মধ্যে গোপন সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সৌদি যুবরাজের বিভিন্ন বক্তব্য এবং ইসরাইলি কয়েকজন মন্ত্রীর বক্তব্যেও তাদের সম্পর্ক থাকার সত্যতা প্রকাশ পায়।
সৌদি আরব গতমাসে প্রথমবারের মত তাদের আকাশ পথ ইসরায়েলগামী কমার্শিয়াল ফ্লাইটের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। দুই দেশের সম্পর্কের পরিবর্তনের ধারায় ওই ঘটনাকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা। তাদের এ সম্পর্কের পেছনে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাববিস্তারি রাষ্ট্র ইরানকে ঠেকানোও অভিন্ন উদ্দেশ্য। সূত্র : রয়টার্স, আটলান্টিক, টাইমস অব ইসরাইল