ফারহানা ইসলাম
ফ্রীম্যাসনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
ফ্রীম্যাসন মানে- স্বাধীন নির্মানকর্মী ক্লাব। এই বাহ্যিক নাম দ্বারা বুঝা যায় – এটা চরিত্র নির্মানকারী একটি সংগঠন। কিন্তু বাস্তবে এরকম নয়। বরং এই মনমুগ্ধকর নামের অন্তরালে এই সংগঠন চরিত্রহনন ও সমাজের অবকাঠামো ধ্বংসে নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছে। এটি পৃথিবীর সমস্ত আন্দোলনে মধ্য সর্বাধিক সংহত, অন্তঃশীল ও সন্নিবদ্ধ, ইয়াহুদ ও জিওনিস্টদের আন্দেলন। তাই এর বাস্তব ও প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরা ও বিস্তারিতভাবে প্রত্যেক মুসলমানকে এর আসল রূপ সম্বন্ধে অবগত করা জরুরী মনে করি। যাতে করে কোন মুসলমান অজ্ঞাতসারে তাদের বিছানা জালে আটকে না যায়।
উৎপত্তি ও বিকাশঃ
এই আন্দোলনের উৎপত্তি বা প্রাদুর্ভাব নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে: কোন কোন বিশেষজ্ঞের অভিমত- হযরত মূসা (আঃ) যখন ময়দানে তীহে ছিলেন তখন এই আন্দোলনের আবির্ভাব হয়। আবার কেউ কেউ বলেন- হযরত মূসা (আঃ) এর দাওয়াতের মুকাবেলা করার জন্য এই সংগঠনের আবির্ভাব হয়। এর উদ্ভাবক হল ‘দ্বিতীয় হেরোডিস’। ‘গোপন শক্তি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এর সদস্য সংখ্যা তখন ছিল মাত্র নয় জন। ৮/১০/৪৩ তারিখে ‘হায়কল’ নামক স্থানে সেমিনারের মাধ্যমে তাদের নিয়মতান্ত্রিক অভ্যুদয় ঘটে। এই সেমিনারে প্রত্যেক সদস্য একবাক্যে শপথ করে যে- ‘সংগঠনের যাবতীয় তত্ত্ব- উপাত্ত অত্যন্ত গোপন রাখবে, সংগঠনের প্রতিটি ডাকে সাড়া দেবে। আর যে এই ডাকে কর্ণপাত করবেনা, তার উপহার হবে নির্ভেজাল মৃত্যু’। এ শ . এর শুরুতেই তারা হযরত ঈসা আ. এর হাওয়ারী বা সহচরদের গুপ্তহত্যা করা শুরু করে। তাদের হাতে সর্বপ্রথম নিহত হন ‘পিটার্স’ ‘নেরুন।’ তার ইহুদী স্ত্রী ‘বুবায়ার’ উদ্দীপনায় তাঁকে হত্যা করে। কিছু মনীষী বলেন- এই আন্দোলনের প্রাদুর্ভাব হয় আরও পরে। তারা বলেন- ‘১৩৭৬ সালে বৃটিশ জেনারেল এসেম্বলীর প্রথম ম্যাসন্নী সদস্য সম্বন্ধে সন্ধান পাওয়া যায়, এর পূর্বে এদের কোন হদিসই পাওয়া যায় না। ১৭১৭ সালে তারা প্রথম সেমিনার করে। এবং ল্যাটিনী নাম ARO BUARTEUR CONORIUM গ্রহণ করে তাদের বিকৃত আক্বীদা-বিশ্বাস সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে’।