ফিদা আল মুগনি
২০১৪ সালের ২৬শে জানুয়ারী,বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা সরকারী ইশতেহারে তৃতীয় লিঙ্গকে এই বলে স্বীকৃতিপ্রদান ও তালিকাভুক্ত করে যে, বাংলাদেশ সরকার হিজড়া সম্প্রদায়কে হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে সত্যি বলতে এ ধরনের আই কিছু সময়ের জন্যেও কার্যকর ছিল বলে জানা যায় নি। ২০১৪ সালেই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় উদ্যেগ নিয়ে কিছু হিজড়াদের সরকারি চাকুরীর জন্যেও আবেদন জানায়। ১০ জন প্রাথমিক ভাবে আবেদন করে কিন্তু সেখানেও অপমানের স্বীকার হতে হয়। তাদের সমাজব্যবস্থা-হিজড়াদের সমাজ ব্যবস্থায় সাধারণত একজন গুরু বা নেতা থাকে। হিজড়াদের আয়ের মূল উৎস ভিক্ষাবৃত্তি, তারপর পতিতাবৃত্তি এবং বেশিরভাগ সময়ই নতুন শিশুর জন্মের সময় আশীর্বাদ প্রদানের নাম করে টাকা আদায় করা।তাদের দৈনিক আয়ের অর্ধেক দিয়ে দিতে হয় নেতাকে।
হিজড়াদের জিজ্ঞেস করলেই জানা যায় যদি নেতার কাছ থেকে তারা সরে যাবার ইচ্ছা পোষণ করে তবে চুল কামিয়ে দেয়া কিংবা গরম কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করা হয়ে থাকে।যদি সরকারী চাকুরী পাওয়া যায় তবে সে বিনা দ্বিধায় নেতার কাছ থেকে মুক্তি পেত। সরকারি চাকুরীর নাম করে বিভিন্নভাবে তাদের হেয় করা হয়।কারণ ব্যতিক্রমী ছাড়া বাহির থেকে হিজড়াদের নারীদের মত শরীরের অধিকারী মনে করা হলেও মূলত তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পুরুষের মতোই।তাদের মেডিকেল চেকআপের নাম করেও অপমান করা হয়।(চলবে)