জাকিয়া সুলতানা প্রীতি ||
আগামী ২২ই আগস্ট মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে, ঈদকে ঘিরে প্রায় জমজমাট হতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। ক্রেতাদের ভীড় দুএকদিনের মধ্যে বাড়ার আশা করছেন বিক্রেতারা। এত এত কোরবানির পশু থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সুস্থ সবল পশু বাছাই করাটাও অনেক বড় একটা দায়িত্ব ক্রেতাদের।
ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ছয় ধরনের পশু কোরবানীর করার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে-গরু, ছাগল, উট, ভেড়া, দুম্বা এবং মহিষ। বাংলাদেশের পশু কোরবানীর ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় পশু হলো গরু। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন হাটে কোরবানীর পশু কেনা-বেচা শুরু হয়ে গেছে।
কোরবানীর পশু নির্বাচন বিষয়ক কিছু অবতারণা, অবশ্যই সকলের সচেতন দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিতঃ
-প্রথমেই পশুদের বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এ বিষয়ে ইসলামী শরীয়াতে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে।ছাগল,ভেড়া ও দুম্বার জন্য কমপক্ষে এক বছর,গরু ও মহিষের জন্য নুন্যতম দুই বছর এবং উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে।
-তাছাড়া কোরবানীর পশুগুলো হতে হবে যথাসম্ভব দোষ ও ত্রুটিমুক্ত।এক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়গুলো হলো-
সাধারণত মধ্যম বয়সী, উজ্জ্বল গাঢ় বর্ণের, আকর্ষণীয় ও দর্শকনন্দিত এবং সুস্থ-সবল।
সুস্থ পশু চেনার উপায়ঃ
১. মাথা তথা শিঁরদাড়া উঁচু,কান খাঁড়া,শরীর টানটান থাকবে।
২. পশুগুলোর মধ্যে চটপটে ভাব থাকবে,দ্রুত হাঁটাচলা এবং স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করবে।
৩. অবশ্যই লেজ দিয়ে মশা-মাছি তাড়াবে এক কথায় লেজ নাড়াবে।
৪. ভারি আওয়াজে ছোটাছুটি করবে,এমনকি গুতো দিতেও উদ্যত হবে।
৫. নাকের উপরের অংশ ভেজা থাকবে।
৬. গোবর স্বাভাবিক থাকবে।
মোটাতাজা পশু মানেই সুস্থ এমন নয়, বরং বেশি মোটাতাজা পশুতে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে যা পরবর্তীতে মানুষের স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোরবানীর পশু কেনার সময় শরীরে কোনো ক্ষত আছে কিনা ভালো করে দেখে নিতে হবে।
যেসব পশুকে স্টেরয়েড বা মোটাজাতকরণ ঔষধ প্রয়োগ করে বিক্রি করা হয়, সেগুলোর শরীরে পানি জমে ফুলে উঠে। আঙুল দিয়ে শরীরে মাংসল অংশের উপর চাপ দিলে আঙুল ভিতরে ঢুকে যাবে এবং পানির উপস্থিতি বুঝা যাবে।
পশু ক্রয়ের পর কোন রোগ বা অসুবিধা দেখা দিলে প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অলংকরণঃ ফিদা আল মুগনী