শাহদাত হোসেন নিষাদ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জেগে উঠেছে চির সবুজের দ্বীপ নিঝুমদ্বীপ। তিন দিকে মেঘনা নদী আর এক দিকে বঙ্গোপসাগর ঘিরে রেখেছে ভূখণ্ডটিকে। নিঝুমদ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মাইলের পর মাইল জুড়ে কেওড়া বন আর সেই বনে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিত্রা হরিণ। জোয়ার-ভাটার এই দ্বীপে এক পাশ ঢেকে আছে সাদা বালুতে, অন্য পাশে সৈকত।
একসময় নিঝুমদ্বীপ হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড ছিল। এখন নিঝুমদ্বীপ একটি ইউনিয়ন। যার আয়তন ৮১ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৫৭০০০ জন।
সৌন্দর্য্যমন্ডিত এই দ্বীপের উত্তরে রয়েছে আলতাপ চর, কমলারচর, মেঘনা নদী, দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে দমারচর ও মেঘনা নদী , পশ্চিমে ঢালচর, হিয়ালচর, কালকিনি এবং মনপুরা।
০৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে নিঝুমদ্বীপ। ১৯টির মত গ্রাম আছে এখানে। গ্রামগুলোর নামও খুবই সুন্দর করে রাখা হয়েছে। ধানসিঁড়ি, বসুন্ধরা, বাতায়ন, আগমনী, যুগান্তর, ছায়াবিথি, আনন্দ, পূর্বাচল, সূর্যোদয়, ইসলামপুর, মোল্লাগ্রাম, আদর্শগ্রাম, মুক্তিযোদ্ধা, শতফুল, রাস্তার মাথা, গুচ্ছগ্রাম, বান্ধাখালী-১, বান্ধাখালী -২ এবং হাজীগ্রাম।
অনেকগুলো খাল রয়েছে এখানে। চৌধুরীর খাল, পটকাখালী খাল, সোয়ানখালী খাল, ডুবাই খাল, ধামসাখালী খাল, ভট্রোখালী খাল, কাউনিয়া খাল, লেংটা খাল। খালের জলে হরিণের পানি পানের দৃশ্য এবং পাখিদের স্নান করা ইত্যাদি পর্যটকদের রোমাঞ্চিত করবে। সে দৃশ্য স্বচক্ষে না দেখলে কল্পনা করাও অসম্ভব।