ফোরকান হোসাইন আরমানঃ
“বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান” কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের মত বহু কবির কবিতা,গানে ঠাঁই পেয়েছে কদম ফুল। কদম আর বর্ষা যেন যুগলবন্দী। বর্ষা আসলে কদম ফুটবে। কদম ফুটলে বর্ষা আসে। বর্ষা আর কদমের এ যেন অমর প্রেমগাঁথা। শ্রাবণে যখন গাছে কদম ফুল ফোটে। সবুজ পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিয়ে লাইটের মত জ্বলে উঠে। একটা সময় পুরো গাছ ছেয়ে যায় শুভ্র সাদা,হলুদ মনোহীনি কদমগুচ্ছে। প্রকৃতি সাজে হলুদ- সাদা শাড়িতে। ফুটন্ত কদমের দিকে চোখ পড়লে যে কেউ তার প্রেমে পড়তে বাধ্য।

কদম একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞাণিক নাম Anthocephalus indicus। এছাড়াও মঞ্জুকেশিনী,পুলকী,ললনাদের প্রিয় ফুল বলে অনেকে ললনা প্রিয় বলেও ডাকে। দীর্ঘাকৃতির বহুশাখাবিশিষ্ট বৃক্ষ কদম। কদমের কাঠ বেশি শক্ত নয়। শীতে এর পাতা ঝরে বসন্তে নতুন পাতা গজায়।পাতার রং হালকা সবুজ। এর ফল মাংসল টক এবং কাঠবিড়ালি ও বাদুড়ের প্রিয় খাদ্য। শ্রাবণের অঝোর ধারা ধুয়ে নিয়ে যায় আমাদের যত লালিমা। কাব্য প্রেমী মানুষদের মনে কদম জাগায় কাব্যরস। কদম ফুল হয়ে উঠে সেই কবিত্বের প্রধান অনুসংগ। এমন হয়ে আসছে চিরদিন।কদম ফুল বর্ষাকে এনে দেয় ভরা যৌবন।কদম না ফুটলে বর্ষার রূপ অপূর্ণ থেকে যায়।শ্রাবণের জলে ভিজা একগুচ্ছ কদম হাতে প্রিয়তমার সামনে দাড়ালে বানের মত ঢল নামবে ভালোবাসার। কিংবা প্রণয়নীর চুলের ভাজে গুজে দিলে একটি কদম্ব রচিত হতে পারে ভালোবাসার সিন্ধু। বর্ষা আর কদমের সাথে জড়িয়ে বাজ্ঞালির অনেক আবেগ,উচ্ছাস।
লেখক,ছাত্র ফেনী সরকারি কলেজ
#সম্পাদনা এমএ