প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গাছ পালনের অপরিহার্য ভূমিকা। ভারসাম্যমূলক প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য দেশের মোট ভূমির অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। সে ক্ষেত্রে সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বনভূমির পরিমান ১৭ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ঔ বনভূমির পরিমান ও হ্রাস পাচ্ছে। ফলে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমঞ্চিলের বনভূমির পরিমান নেমে এসেছে ৬.৫ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্বের বনভূমি উজাড় হতে হতে অর্থেকে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বিশ্ব পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। অথচ মানুষের বসবাসের উপযোগী ভারসাম্য পূর্ণ পৃথিবীর জন্য দরকার গাছপালা। গাছপালা কেবল অক্সিজেন দেয় না, আমাদের জীবন রক্ষা করে না, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ও গাছপালা পালনের অপরিহার্য ভূমিকা। বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বৃক্ষ আবহাওয়াকে বিশুদ্ধ রাখে। জলীয়বাষ্প তৈরি করে বাতাসের আর্দ্রতা বাড়িয়ে বায়ুমণ্ডলকে শীতল রাখে। বৃক্ষ বৃষ্টি ঝড়িয়ে ভূমিতে পানির পরিমান বৃদ্ধি করে বাড়িয়ে দেয় মাটির জলধারণ ক্ষমতা।
এ ছাড়া গাছপালা মাটির উবরতা বাড়ায়,মাটির ক্ষয় রোধ করে। ঝড়,বন্যা রোধেও অনেক ভূমিকা পালন করে গাছপালা। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ‘কমিউনিটি বনায়ন’ কর্মসূচির আওতায় বারো হাজার একর জ্বালানি কাঠের বাগান, তিনশো একর বন-বাগান, তিন হাজার একর স্ট্রিপ-বাগান স্থাপন উল্লেখযোগ্য। ৭ হাজার গ্রামকে এই কর্মসূচি আওতায় আনা হয়। বনায়ন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি জন্য ৮০ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং জনসাধারণেরর মধ্যে ৬ কোটি চারা বিতরণ করা হয়। বীর মুক্তিযুদ্ধা মোকাদ্দেস হোসেন চ্যানেল আগামীকে বলেন, “গাছ আমাদের একটি সম্পদ। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। গাছ মাটির ভারসাম্য রক্ষা করে, পরিবেশকে সুন্দর করে। গাছ যেতে নিধন না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। গাছ প্রয়োজন ছারা কাটব না।” মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আতিকুল রহমান চ্যানেল আগামীকে বলেন, “বৃক্ষ নিধন করলে আমাদের অনেক সময় জীবনে ও প্রানীকূলে অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে পারে। বৃক্ষ নিধন ফলে সিজর,হায়লার মত যে সমন্ত মহা বিপর্যয় বাংলাদেশ অধিক ক্ষতি হতে পারে। আমরা বৃক্ষ পরিচর্যায় আগিয়ে আসব। বৃক্ষ তিন কাসটালো বৃক্ষ, ফলজ বৃক্ষ, ঔষধি বৃক্ষ। গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁচাব।”
শাকিলুর রহমান