হাসান ইনাম
শুরুটা দুই হাজার চৌদ্দতে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মধ্যে কম্বল কম্বল বিতরণ করে টিম ‘জিরো’। সেই থেকেই শুরু। রাজধানী ঢাকায় যখন অলিতে গলিতে লোক দেখানো সংঘটন গড়ে উঠছে।
দুইজনকে সাহায্য করে বিশাল বড় হাসি দিয়ে ফেসবুক কাঁপানো হচ্ছে ঠিক তখনই ঢাকা থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে, স্বাধীনতা সগ্রামে সর্বপ্রথম স্বাধীন হওয়া ছোট্ট জেলা যশোরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শতাধিক মানবতাবাদী যুবক-যুবতী। ‘করুণা নয়, চাই সহযোগিতা – সহমর্মিতা’ শ্লোগান ধারণ করে এই সংঘটন এখনও পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে সমাজের জন্য।
শুরুটা যশোরে হলেও এখন ঝিকরগাছা ও শার্শাতেও হচ্ছে জিরো টিমের কার্যক্রম। শহর পরিষ্কার, শিশুদের নিয়ে ঈদ আনন্দমেলা, কুরবানি ঈদে মাংস বিতরণ, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ অসংখ্য সেবামূলক কাজ করছে সংঘঠনটি।
আল-আমিন, রঞ্জু, তাজ, বখতিয়ার, অথি ,মিথিলা, ছাকিবদের স্বপ্ন অনেক বড়। সমাজকে কিছু দিতে পারলেই যেন শান্তি। অসহায় মানুষগুলোই যেন সবথেকে আপন। কিছুদিন আগে আগুনে ঝলসে যাওয়া এক শিশুর জন্য ফান্ড কালেকশন করে জিরো টিম।
টিমের সেন্ট্রাল কমিটির প্রেসিডেন্ট দেবাশিষ তরফদার। সেক্রেটারি হিসেবে আছে সাব্বির হোসেন বর্ণ। পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে সেন্ট্রাল কমিটির ট্রেজারার তাইজুল ইসলাম চ্যানেল আগামীকে জানান, ‘একটা মেডিকেল ক্যাম্প করার ইচ্ছা আছে। বাচ্চাদের অনেকেই অসুস্থ। আর সমাজের ভিখারিদের জন্য স্থায়ী ভাবে কিছু করার চিন্তাভাবনা আছে।’
পর্দার অন্তরালে কাজ করা টিম জিরো আরো এগিয়ে যাক। শুধু যশোর আর ঝিনাইদহ নয়, দেশব্যাপী শুরু হোক ‘করুণা নয়, চাই সহোযোগিতা – সহমর্মিতা’র বার্তা।