কালো দিনের কালো অধ্যায়
সকাল থেকেই আকাশে মেঘ ছিল না।বাগানে ফুল ফুটেছে।বাড়ির সবাই আনন্দে আছে।ছোট্ট রাসেল ঘরের এদিক থেকে সেদিক ছুটে বেড়ায়।খিলখিল প্রাণবন্ত হাসি ছোট ছেলেটার।কিন্তু হঠাৎ…..
দরজায় ধুরুম ধুরুম আওয়াজ।ঘরে ঢুকে পড়ে বুটজুতা পড়া কয়েকটা লোক।ধপধাপ করে আওয়াজ করে ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে লোকগুলো।ধানমন্ডির সেই সুন্দর বাড়িতে খালি কালোধোয়া দেখা যায় আর গুলির শব্দ শোনা যায়।ছোট্ট রাসেল বলে আমি মার কাছে যাবো চাচা।বুট পড়া চাচা বলেন চলো।
আর পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
১৫ আগস্ট আসতে বেশি দেরি নেই।খুব কাছেই।প্রতিবছর আসে দিনটা।চলেও যায়।মাঝখানে সেই ভয়ানক কালো রঙের স্মৃতি দিয়ে আচ্ছন্ন করে রেখে যায় দেশবাসীকে।১৯৭৫ সালের এই দিনটায় বাঙালীরা হারায় স্বাধীন দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে।হারায় তার পরিবারকে।বাঙালী জাতির কপালে লেগে যায় কলঙ্কের তিলক।সেদিন বিচার করারও ছিলোনা কেউ।বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর বহু পরে,১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হয়।১৫ জন আসামীর মধ্যে তি
নজন বাদে সবার ওপরে মৃত্যুর আদেশ হয়।২০০৭ সালে পাঁচজন খুনির মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।তারপর ২০০৮ সালের ১৫ আগস্ট থেকে এ দিনটা জাতীয় শোক দিবস হিসেবে কার্যকর হয়।
