জাকিয়া সুলতানা প্রীতি ||
সংবাদপত্রের সুপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে।প্রাচীন রোম সম্রাটদের ঘোষণাপত্রসমূহকে সংবাদপত্রের আদি উৎস বলে মনে করা হয় এবং এটি “অ্যাক্টা দিউরমা”নামে পরিচিত ছিলো।তবে আমরা সংবাদপত্র বলতে যা বুঝি তার সূত্রপাত ঘটে চীনে।কম্পিউটার আবিষ্কারের পর সংবাদপত্র পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।ইন্টারনেট আবিষ্কাদের দরূন এখন চালু হয়েছে অনেক অনলাইন পত্রিকা।এতসব পরিবর্তন ঘটার পরও ভারতে এখন প্রকাশিত হচ্ছে হাতে লিখা পত্রিকা।চেন্নাই থেকে প্রকাশিত এ সংবাদপত্রকে বর্তমান বিশ্বের একমাত্র হাতে লেখা পত্রিকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যম “দি মুসলমান” কে এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
ছবি : সংগৃহীত।
“দি মুসলমান”ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন সংবাদপত্রও বটে।কিন্তু সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় এ পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো সন্ধ্যায়।শুধুমাত্র হাতে লিখাই এ পত্রিকাটির বিশেষত্ব নয়,পত্রিকাটির আরও একটি বিশেষত্ব হচ্ছে,এটি পেশাদার ক্যালিগ্রাফারদের ক্যালিগ্রাফি দ্বারা সুসজ্জিত ও আর্কষণীয় করে তোলা হয়।পত্রিকাটির বর্তমান বয়স ৯১ বছর।পত্রিকাটির সম্পাদক সাইয়েদ আরিফুল্লাহ।তার দাদা সাইয়েদ আজাতুল্লাহ এ পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
“দি মুসলমান”পত্রিকার অফিস চেন্নাইয়ের ট্রিপলিকেন হাই রোডে।অফিসের আয়তন মাত্র ৮০০ বর্গফুট।অফিসের বাইরে টাঙানো রয়েছে পত্রিকাটির একটি সাইনবোর্ড,যেখানে ইংরেজি ও উর্দু ভাষাসহ তিনটি ভাষায় পত্রিকাটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি-রেজিঃ নং,ফোন নম্বর,পত্রিকার নাম,অফিসের ঠিকানা ও প্রতিষ্ঠাকাল লেখা রয়েছে।
মোট চার পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয় পত্রিকাটি।এ পত্রিকার বর্তমান পাঠক সংখ্যা ২২,০০০ এর অধিক।দূরের পাঠকদের জন্য রয়েছে ডাকের মাধ্যমে পত্রিকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা।তবে,পত্রিকাটির মূল্য মাত্র ৭৫ পয়সা।মূলত এটি একটি অলাভজনক সংবাদপত্র।
পত্রিকাটির প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ,২য় পাতায় সম্পাদকীয়,৩য় পাতায় স্থানীয় ও ৪র্থ পাতায় খেলাধুলার সংবাদ।তবে সোমবারের সংখ্যাটি কিছুটা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে,এ দিন কুরআন, হাদীস সম্পর্কিত তথ্যাদি বেশি থাকে।
এবং এ পত্রিকাটি আজীবন হাতে লিখে প্রকাশিত হবে বলেই জানা গেছে,কারণ এটি এ পত্রিকার বৈশিষ্ট্য।