ইভান পাল
সংগ্রামী বলতে বোঝায়, সংগ্রাম করেছেন এমন। আর বিপ্লবী বলতে বোঝায়, বিপ্লব ঘটান যিনি। আজ তেমন ই একজন মানুষের কথা বলব, যিনি নিজের জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বহু সংগ্রাম করেছেন।আর বিপ্লব ঘটিয়েছেন শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, ভাষ্কর্য চর্চার ক্ষেত্রে। কথা বলছি, বিংশ শতাব্দী’র বিশ্বখ্যাত ভাষ্কর “ওগুস্ত রদ্যা” এর।
ওগুস্ত রদ্যা। পুরো নাম ফ্রসোয়াঁ ওগুস্ত রনে রদ্যা( Francois Auguste Rene Rodin)। একজন ফরাসি ভাষ্কর। তবে ফরাসি ভাষ্কর হলেও আজ এই পুরো বিশ্ব যেন চিৎকার করে বলছে– এ শুধু ফ্রান্স বা ফরাসি দেশের না। এ আমাদের সকলের, সকল দেশের, সকল মানুষের, প্রিয় ভাষ্কর — ওগুস্ত রদ্যা।

জন্মেছিলেন ১৮৪০ সালের ১২ ই নভেম্বর প্যারিসের ৩ নম্বর রুদ্য লার্ভালে। তারঁ পিতা ছিলেন একজন সাধারণ পুলিশ কর্মচারী। পিতা তো অফিসের কাজে সারাদিন বাইরে থাকতেন। তারঁ মাতার উৎসাহেই তিনি শিল্পী হবার অনুপ্রেরণা লাভ করেছিলেন। তিনি বাল্যকাল থেকেই পড়ালেখার প্রতি উদাসীন ছিলেন। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠ শেষ করবার পর, তারঁ শিক্ষাজীবনের সূর্য অতটুকুতেই অস্তমিত হয়ে যায়। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন না করলেও এই বিখ্যাত ভাষ্কর ছিলেন স্বশিক্ষিত।
কিন্তু রদ্যাঁ পড়ালেখার প্রতি উদাসীন থাকলেও আগ্রহী ছিলেন ছবি আকারঁ প্রতি। তারঁ ছবি আকারঁ এই প্রবল আগ্রহ তার বাবা খুব ভালভাবে প্রত্যক্ষ করলেন। তিনি কাল বিল্ম্ব না করে ছেলের এই আগ্রহের প্রতি সন্মান জানিয়ে ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দিলেন একটি ড্রইং স্কুলে। একোল নাৎসিওনাল দ্যা দ্যাস্যা- নামক এই স্কুলটিতে ১৮৫৪ সাল থেকে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি ড্রইং ও ভাষ্কর্য বিষয়ে শিক্ষালাভ করেছিলেন। সেখানে প্রায় পুরো দিন ধরেই তিনি ছবি আকঁতেন। স্কুলটিতে চিত্রকলার পাশাপাশি মডেলিং এর ও শিক্ষা দেওয়া হত। এই মডেলিং থেকেই তারঁ ভাষ্কর্যের প্রতি আগ্রহ, আর পরবর্তীতে ভাষ্কর্যের উপর কাজ করা। তিনি এই মডেলিং দেখতে দেখতে ভাষ্কর্য শিল্পকলার প্রেমে পড়ে যান। আর তখন থেকেই কাজ শুরু করে জীবনে এ পর্যন্ত আসা।
তিনি জীবিকার উপার্জনের জন্য করেছেন বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী ও বাড়িঘর অলঙ্করণের কাজ। আবার নিয়মিত ভাবে করে গেছেন শিল্পকললার চর্চাও। তিনি ১৮৬৩ সালে থিয়েটার দ্য গবলির কাজ করেন এবং প্যানোরমা দ্য শাঁজেলিজের অলঙ্করণের কাজ ও করেছিলেন।
১৮৬৩ সালের পর থেকে দুই দশক কাল পর্যন্ত বহু কাজ করেছেন।সাথে নিয়মিত ভাবে যাতায়াত শুরু করেন প্যারিসের দ্যা গ্রেট খ্যাত– ‘“লুভর মিউজিয়ামে”। আর এই সময় তিনি লুভরের সংগ্রহশালায় থাকা বিখ্যাত ইতালীয় ভাষ্কর মাইকেল এঞ্জেলো’র ভাষ্কর্যকর্ম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। ১৮৭৫ সালে তিনি মাইকেল এঞ্জেলো এবং তারঁ সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে আরো বিশদভাবে পাড়ি জমান ইতালিতে। আর মাইকেলের এই সৃষ্টগুলো পর্যবেক্ষণ এর মধ্য দিয়েই তিনি শেখেন ভাষ্কর্য তৈরীর ক্ষেত্রে কিভাবে মানবদেহের নাটকীয়তা ফুটিয়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে।

১৮৬৪ সালে রোজ বিউরেটর’র বা রোজ ব্যুরে নামক এক তরুণী বয়ন শিল্পীর সাথে তারঁ সখ্যতা গড়ে ওঠে। তারা একে অপরের সাথে খুব ঘনিষ্ট হয়ে পড়েন। রোজ অতি সাধারণ হলেও মায়া মমতায়, সেবাপরায়ণতায় এবং মিষ্টি স্বভাবের দিক থেকে ছিল অসাধারণ। ১৯১৭ সালে ২৯ জানুয়ারিতে তারাঁ উভয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন। কিন্তু খুব বেশীদিন স্থায়ী সুখের নীড় গড়তে পারেননি রোজ-রদ্যাঁ দম্পতি। বিয়ের মাত্র ১৭দিন পর রদ্যা ‘র স্ত্রী মৃত্যবরণ করেন। শোকে মুহ্যমান রদ্যাঁ অনেক কষ্টে নিজেকে সামলান।
রদ্যাঁ তার প্রথম জীবনে অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করেছেন। ১৮৬৬ সালে রদ্যা-রোজ দম্পতির এক পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। সে পুত্রসন্তান কে লালনপালনের প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে তিনি ফ্রান্সের তৎকালীন ব্যস্ত ভাস্কর ক্যারিয়ে বেল্যজের অধীনে কাজ শুরু করেন। শুরু করলেন কিন্তু একসময় ভাস্কর ক্যারিয়ে-বেল্যজের সাথে তারঁ প্রচন্ড মতবিরোধ দেখা দেয়।যার ফলশ্রুতি তে তিনি সেখানে কাজ করা ছেড়ে দেন। শুরু করলেন এক সংগ্রামী জীবন। নিজে নিজেই অনেক ভাস্কর্য তৈরী করেছিলেন। কিন্তু দু:খের ব্যাপার ছিল, অর্থের অভাবে তিনি সেগুলোকে ছাঁচে ঢালাই করতে পারেননি। যাক, তারপর ও তারঁ এ সৃষ্টি কখনো থেমে থাকেনি।
অবশেষে তারঁ এ সংগ্রামী জীবনে সফলতা এসেছিল। যদিও বা তা ছিল অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য। সে বছর ই তার প্রথম ভাস্কর্য প্রদর্শনীতে ঠাঁই পায়। কিন্তু সব থেকে খারাপ লাগার ব্যাপার ছিল এই যে, বহু সাধনার পর যখন তিনি ভাস্কর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে- তিনি ভাষ্কর্য নিমার্ণের ক্ষেত্রে এক প্রকার চুরি করেছেন। কারণ, রদ্যাঁর তৈরি মানুষের মূর্তিগুলো এত বেশি জীবন্ত ও নিখুঁত ছিল যে তা রদ্যাঁর হাতে করা কাজ বলে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। তাই তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আর তাতে বলা হয় — রদ্যাঁ সরাসরি মডেলের দেহ থেকে ছাঁচ নিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। কিন্তু এই অভিযোগ নন্দিত এই ভাস্কর রদ্যাঁর জন্য যে ভয়ানক অপমানকর ছিল। শেষ পর্যন্ত ফরাসি সরকার এই পরিস্থিতি থেকে রদ্যাঁকে মুক্ত করতে রীতিমতো তদন্ত কমিশন গঠিত করেন। আর সবকিছুর পর গিয়ে কমিশনের রিপোর্টে এ অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।
আমি শিরোনামেই বলেছি, একজন সংগ্রামী শিল্পীর জীবন। রদ্যা কে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই জীবনের সাথে অসংখ্যবার সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু হাল ছেড়ে দিয়ে সব কিছু থেকে পিছিয়ে আসেননি। বরং দৃঢ় মনোভাব নিয়ে জীবনের এক একটি ধাপ পার করেছিলেন।
আর সাফল্য বোধ হয় তারাই অর্জন করে যারা জীবনে প্রচুর সংগ্রাম করে। তাই রদ্যা’র জীবনেও সেই সাফল্য ই এসেছিল। তবে তা আর ক্ষনিকের জন্য নয় বরং আজীবনের জন্য। যা আজো তাকে সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়, ইনিই বিখ্যাত ফরাসি ভাষ্কর অগ্যুস্ত রদ্যা।
১৮৮৮সালে অংশ নেন প্যারিসের একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে । ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী থেকে স্বর্ণপদক জিতে নেন। ১৮৯৩ সালে মিউনিন্স প্রদর্শনীতে পান দ্বিতীয় পুরস্কার রৌপ্যপদক। নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিন মিউজিয়াম ১৯১০সালে রদ্যাঁর ১০টি ভাস্কর্য সংগ্রহ করেছিলেন। আর তারঁ জন্য তাকেঁ সন্মানী হিসেবে প্রদান করা হয় ২৫ হাজার ডলার। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ১৯০৭ সালে রদ্যাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। রদ্যাঁ তারঁ জীবনকালে পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। কমিশন ওয়ার্ক করে প্রচুর সুনাম অর্জন করেন।
এতক্ষণ তো আমরা সংগ্রামী রদ্যাঁ’র কথা শুনেছি।এবার একটু বিপ্লবী রদ্যা’র কথাই ই বলি। আমি শিরোনামেই উল্ল্যেখ করেছি, একজন বিপ্লবী ভাষ্কর রদ্যা।
হ্যাঁ সত্যিই তিনি বিপ্লবীই ছিলেন। ১৮৫৭ সাল থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত এক বছরের ভেতর টানা তিন তিনবার শিল্পকলার শিক্ষার বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ একোল দে বোজার্ৎ (Ecole Des Beaux – Arts) এ ভর্তি হতে ব্যর্থ হন। আর এই ব্যর্থতাই ছিল ছিল তারঁ সফল হওয়ার মূল চাবিকাঠি। বলা হয়ে থাকে, Failure is the pillar of success। তাই ই ঘটেছিল রদ্যা’র জীবনে। আর তার কথা তো বললাম। কিন্তু এই যে বোজার্ৎ আর্ট নিয়ে কাজ করতে না পারাটা এটা তার মনে গভীর দাগ কেটেছিল। আর তারপর থেকে একের পর এক প্রচেষ্টা আর বিল্পব ঘটান সারা বিশ্ব তথা ফ্রান্সের ভাষ্কর্য চর্চার ক্ষেত্রে। ফ্রান্সের দীর্ঘদিনের যে নিজস্ব রীতি বোজার্ৎ আর্ট তা ভেঙ্গে নিজস্ব রীতি পদ্ধতিতে তিনি ভাষ্কর্য নির্মাণের কাজ শুরু করেন। আর ভাষ্কর্য নির্মাণের ক্ষেত্রে তারঁ এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন তাকেঁ সমগ্র বিশ্বের কাছে এক অন্য মাত্রায়, শ্রেষ্ট ভাষ্করের মর্যাদায় ভূষিত করে।
১৯০৩ সালে তিনি ‘কমান্ডার অব লিজিয়ন অব অনার’ পদবিতে ভূষিত হন। ঐ একই বছরে চিত্র, ভাস্কর্য ও খোদাই শিল্পীদের যে আন্তর্জাতিক সমিতি রয়েছে তিনি তারঁ সভাপতি নির্বাচিত হন। তাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় অসংখ্য মূল্যবান গ্রন্থ ও রচিত হয়েছে। শিল্পী রদ্যাঁ ১৯১৫ সালে রোমের পোপ পঞ্চদশ বেনেডিক্টের প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন।
এবার আসি অগুস্ত রদ্যা’র ভাষ্কর্যের কথায়। তারঁ বিশ্ববিখ্যাত ভাষ্কর্য কর্মের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হচ্ছে — “ দ্যা ম্যান উইথ দ্যা ব্রোকেন নোজ, দ্যা এইজ অব ব্রোঞ্জ, দ্যা ডিফেন্স, দ্যা বার্বাগার্স আব কালে, দ্যা গেটস অব হেল, দ্যা কিস, দ্যা শেডস, দ্যা প্রোডিগাল সন, দ্যা ক্রোচিং উওম্যান, দ্যা হেড এব সোরো, দ্যা মেডিটেশন ইত্যাদি।
কিন্তু এগুলোর মাঝে তারঁ শ্রেষ্ট কয়েকটি হল- দ্যা কিস, দ্যা থিঙ্কার।
প্যারিসের মোটামুটি প্রায় সব জাদুঘরেই রদ্যা’র ভাষ্কর্য সংরক্ষিত আছে। আছে প্যারিসের বাইরের অন্যান্য জাদুঘরগুলোতেও। কিন্তু সব থেকে বেশী আছে — প্যারিসের রদ্যা জাদুঘরে।
তাই এবার একটু সেদিক পানেই যায়। কারণ সেখানেই রয়েছে, রদ্যা সাহেবের বিশ্ববিখ্যাত ভাষ্কর্য “ দ্যা থিঙ্কার”।

সীন নদীর তীরে রয়েছে নেপোলিয়নের সমাধিস্তম্ভ। আর তার পাশের 79 Rue de Varenne তে অবস্থিত এই বিশ্বখ্যাত জাদুঘরটি। প্যারিসের এটি এমন একটি জাদুঘর যার সামনে সারা বছরই লেগে থাকে বিশাল লাইন। শুধুমাত্র টিকিট সংগ্রহ করাটাই এখানকার দর্শণার্থীদের কাছে এক বিরাট ব্যাপার। জাদুঘর প্রাসাদের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পরপরই ডানদিকে পার্কের ভিতরে গাছঘেরা সুউচ্চ বেদী স্তম্ভে খোলা আকাশের নীচে নিরিবিলিতে বসে আছেন স্বয়ং দ্য থিংকার!

রদ্যাঁ ছাচে ফেলে যে কয়টি ব্রোঞ্জ আর মার্বেলের থিংকার তৈরি করেছিলেন, এটিই সবচেয়ে বৃহৎ আকৃতির। একজন মানুষ নগ্নগাত্রে বলিষ্ঠ ভাবে বসে আছে, একটি হাত আলতো ভাবে পড়ে আছে হাঁটুর উপরে, অন্যটি থুঁতনিতে স্পর্শ করে কি গভীর ভাবেই না সে চিন্তামগ্ন! চিন্তা এই পৃথিবীর জন্য, এর বাসিন্দাদের জন্য। এ কারণেই রদ্যাঁ এই বিশেষ ভাস্কর্যটি তৈরী করার পর থেকেই এর জনপ্রিয়তা বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। এটি ছিল তারঁ জগদ্বিখ্যাত ভাষ্কর্য। জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শনের প্রতীক হয়ে দাড়ায় দ্য থিংকার। অনেকের মতে মানুষের মনে আশার আলো জাগায় ব্রোঞ্জ-মার্বেলের এই ভাস্কর্য। প্যারিসের অনেক জায়গা ঘুরে অবশেষে তাকে স্থাপন করা হয় এই জায়গাটিতে। বিভিন্ন মনিষিদের মতে, মহাকবি দান্তের অনুকরণে মূর্তিটি গড়া হয়েছে। আর তাই আমি তারঁ অন্যান্য সৃষ্টিকে ব্যাতিরেকে রদ্যাঁ সাহেবের এই জগদ্বিখ্যাত ভাষ্কর্যের উপর আলোচনা করলাম।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যার আবুল কাশেম ফজলুল হক তার সম্পাদিত ‘লোকায়ত’ নামক পত্রিকাতে ১৯৯৬ সালের নভেম্বর সংখ্যাতে এই থিংকার নামক ভাস্কর্যটি ছেপে পত্রিকার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছিলেন।সেই সাথে বিশ্বখ্যাত ভাস্কর রদ্যাঁ সম্পর্কে বাংলাদেশের শিল্পপ্রেমী পাঠকদের আগ্রহান্বিত করেছিলেন।
তিনি এতটাই শ্রেষ্ট ছিলেন যে, পৃথিবীর যেকোন জাদুঘর ইই রদ্যাঁ‘র ভাষ্কর্য রাখতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করে। তাই তারঁ এ সৃষ্টিকর্ম রয়েছে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের নামকরা সব জাদুঘর গুলোতে। তারঁ সন্মানে প্যারিসে নির্মিত হয়েছে একটি বিখ্যাত জাদুঘর। ফরাসি ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে, “ম্যুজি রদ্যাঁ” বা রদ্যারঁ মিউজিয়াম। যেখানে তার সমস্ত শ্রেষ্ট শিল্পকর্মগুলো সংরক্ষিত রয়েছে।
১৯১৬ সালে তিনি তারঁ সমস্ত সৃষ্টি তুলে দেন প্যারিস সরকারের হাতে। আর এর ঠিক এক বছর পর অর্থাৎ ১৯১৭ সালের ১৭ই নভেম্বর জীবনের প্রতিটা পর্যায়ে ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করা মহান এই সংগামী শিল্পী প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যকণিকাঃ
1)https://bn.m.wikipedia.org/wiki/ওগুস্ত_রদ্যাঁ
2)http://immortalfame.blogspot.in/2011/11/blog-post_7476.html?m=1
3)http://m.dailynayadiganta.com/?/detail/news/114219
4)http://www.sachalayatan.com/node/41199
5) বাংলাদেশ শিশু একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত বই ” শিশু বিশ্বকোষ”